1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আমাদের পরিবারে, বংশে সাহিত্য-সংস্কৃতি গৌণ

৮ মার্চ ২০১১

একটিমাত্র উপন্যাস লিখে আলতাফ টায়ারওয়ালা আজ বহুল আলোচিত৷ দেশে-বিদেশে সম্মানিত৷ পুরস্কৃত৷ আর ডিএএডি-র আবাসিক লেখক হিসেবে তিনি এখন বার্লিনে৷

https://p.dw.com/p/10V3w
আলতাফ টায়ারওয়ালাছবি: presse

ভারতীয় ইংরেজি লেখক-লেখিকারা আর অপাংক্তেয় নন, বরং বিশ্বসাহিত্যে তাঁদের কদর তুল্যমূল্য৷ পৃথিবীর নানা ভাষায় বই অনূদিত হচ্ছে তাঁদের৷ পাচ্ছেন পুরস্কার৷ তরুণ লেখক আলতাফ টায়ারওয়ালা তাঁদেরই নবতর সংযোজন৷

জন্ম জানুয়ারি, ১৯৭৭ সনে৷ মুম্বই'এ৷ আদতে তিনি গুজরাটের ইসমাইলি খোজা বংশীয়৷ আলতাফ টায়ারওয়ালার প্রথম ছোট গল্প প্রকাশিত হয় ‘দ্য লিটল ম্যাগাজিন'-এ৷ প্রথম গল্পই বোদ্ধা সমালোচক মহলে বহুল আলোচিত৷ প্রশংসিতও৷ এরপর ২০০৫ সনে বের হয় ‘নো গড ইন সাইট' উপন্যাসটি৷ এখনও পর্যন্ত ঐ একটিই উপন্যাস৷ নানা ভাষায় অনুবাদিত৷ জার্মান অনুবাদ ‘কাইন গট ইন জিশ্ট'৷ বেরিয়েছে বিখ্যাত প্রকাশন ‘সুর ক্যাম্প' থেকে৷

এই একটিমাত্র উপন্যাসের সুবাদেই আলতাফ আবাসিক লেখক হিসেবে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর কাটিয়ে এখন বার্লিনে৷ এখানে তিনি থাকবেন পুরো এক বছর৷ আর ইতোমধ্যেই লেখালেখি নিয়ে তুমুল ব্যস্ত৷ সম্পাদনা করছেন ক্রাইম-গল্পের একটি সংকলন৷

আলতাফের সঙ্গে প্রশ্নোত্তরে জানা গেল, ‘নো গড ইন সাইট' উপন্যাসটির পটভূমি বোম্বে শহর৷ চরিত্রগুলিও বোম্বে কেন্দ্রিক৷ তবে সামগ্রিক বিচারে ভারতের যে কোনো বড়ো শহরই হতে পারে৷ তাই সর্বভারতীয় বলাই যুক্তিসঙ্গত৷

আলতাফ লেখাপড়া করেছেন নিউ ইয়র্কে, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে৷ ওঁর গোটা পরিবার, বংশই ব্যবসায় জড়িত৷ নিজেই বলেন, ‘‘আমাদের পরিবারে, বংশে সাহিত্য-সংস্কৃতি একেবারেই গৌণ৷ তথা, তার বালাই নেই৷ অর্থ উপার্জনই একমাত্র লক্ষ৷ তাই তিনি নিজে ব্যবসা-বাণ্যিজ্য বাদ দিয়ে সাহিত্য কেন বেছে নিলেন - তা তাঁর নিজের কাছেই রহস্য৷

আলতাফের গল্প-উপন্যাসে নিরত জটিলতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা৷ গৎবাধা মামুলি কাহিনী নয়৷ জনপ্রিয়, রোম্যান্টিক বিষয়ও বেছে নেন না তিনি৷ এদিকে বোদ্ধাকুল প্রশংসা করলেও, বই কিন্তু বিকোয় না৷ অবশ্য এ নিয়ে তেমন ভাবনা নেই তাঁর৷

আলতাফ টায়ারওয়ালা কবিতাও লেখেন৷ ওঁনার স্ত্রীর নাম কবিতা৷

প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, বার্লিন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ