1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আমাদের বাড়ি এখন ক্ষতিগ্রস্ত, বললেন থাই প্রধানমন্ত্রী

২১ মে ২০১০

ব্যাংকক এবং অন্যান্য এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক, ঘোষণা দিলেন থাই প্রধানমন্ত্রী আপিসিত ভেজ্জাজিভা৷

https://p.dw.com/p/NU3D
ছবি: AP

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসানের পর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আরও প্রতিশ্রুতি আসলো যে, পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে৷

প্রায় দুই মাস ধরে লালজামাধারী আন্দোলনকারীদের আন্দোলনের পরিসমাপ্তিটা ছিল খুবই বেদনাদায়ক৷ শেষ এক সপ্তাহে সেনাবাহিনীর গুলিতে ৫২ জন আন্দোলনকারী নিহত এবং প্রায় চার শতাধিক গুরুতর আহত হয়, আন্দোলনকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে৷ সেনাবাহিনীর প্রবল অভিযানের পর লালজামাধারীরা এখন ঘরে৷ অবশ্য এদের মধ্যে অনেক নেতাকর্মীকে আটকও করেছে নিরাপত্তা বাহিনী৷

শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ আবেগ জড়িত কণ্ঠে বললেন, ‘‘প্রিয় দেশবাসী, আমরা সকলেই একত্রে যে বাড়িতে বাস করি, সেই বাড়ি এখন ক্ষতিগ্রস্ত৷ আমাদের একে অন্যকে সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে একে পুনর্নির্মাণ করতে হবে৷'' বাড়ি বলতে তিনি যে শ্যামদেশকেই বুঝিয়েছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ তিনি অবশ্য স্বীকার করে বললেন, নিজেদের মধ্যে যে ভেদাভেদ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসন সত্যিই একটি বড় চ্যালেঞ্জ৷ আশা করা হয়েছিল, আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কোন বক্তব্য রাখবেন৷ কিন্তু সযত্নে তিনি নির্বাচনের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন৷ আপিসিতের কথায়, ‘‘সকল দল ও মতের অংশগ্রহণে সংসদীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা হবে৷ একই সঙ্গে এই প্রতিবাদ বিক্ষোভের সময়ে সমস্ত ঘটনার একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ তদন্ত হবে৷''

No Flash Thailand Politik
থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শপিং মলের বর্তমান অবস্থাছবি: AP

প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিরোধ মীমাংসার এই উদ্যোগে অবশ্যই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে৷ ক্ষমতা থেকে সরে যাবার পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে৷ অবশ্য সেখান থেকেই তিনি আন্দোলনের সময়ে সরকারের দমনপীড়নের নিন্দা জানিয়েছেন৷

এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন আস্টন আজই থাই পরিস্থিতি বিষয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন৷ তিনি থাই সরকারের প্রতি আন্দোলনকারী লালজামাধারীদের মানবাধিকার যেন লঙ্ঘিত না হয়, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ আস্টনের কথায়, সংঘাত শান্তি আনতে পারে না৷ আনতে পারে কেবল বিভেদ৷ যা এসেছে থাইল্যান্ড এবং এর জনগণের মধ্যে৷ তিনি সাম্প্রতিক এই আন্দোলনের প্রাণহানির ঘটনায় প্রচণ্ড ব্যথিত বলেও উল্লেখ করেছেন৷

এদিকে, কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট'এর এক বিবৃতিতে থাই সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে সাংবাদিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন৷ লালজামাধারী আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ সংক্রান্ত খবর সংগ্রহকালে দুই সাংবাদিক নিহত এবং ছয় জন মারাত্মক আহত হন৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন