1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আমি পিটসবার্গের প্রতিনিধি, প্যারিসের নয়’

২ জুন ২০১৭

যাবতীয় আশঙ্কা সত্য প্রমাণ করে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে অ্যামেরিকাকে সরিয়ে নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তিনি এ বিষয়ে নতুন করে দরকষাকষির কথা বললেও ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশগুলি তা নাকচ করে দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2e0yW
USA Trump verkündet Ausstieg aus Pariser Klimaschutzabkommen
ছবি: Reuters/K. Lamarque

নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পরেই হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প জলবায়ু চুক্তি সংক্রান্ত বহু প্রতিক্ষিত ঘোষণা করলেন৷ তার আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স স্তুতিবাক্যের মাধ্যমে ট্রাম্পের ‘অসাধারণ নেতৃত্বের’ দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন৷ নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পালনের ক্ষেত্রে ট্রাম্প কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, সে বিষয়ের উল্লেখ করেন তিনি৷

এরপর ট্রাম্প নিজে ২০১৫ সালের জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা করেন এবং দীর্ঘ ভাষণে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে একাধিক যুক্তি ও কারণ তুলে ধরেন৷ তাঁর বক্তব্যের মূলমন্ত্র ছিল ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট’৷ ট্রাম্প মনে করেন, এই চুক্তি মার্কিন স্বার্থের মারাত্মক ক্ষতি করেছে৷ চীন ও ভারতের মতো দেশ জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির ব্যবহার আরও সম্প্রসারণের সুযোগ পেলেও অ্যামেরিকার উপর ‘অন্যায় শর্ত’ চাপিয়ে কয়লা, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি শিল্পের ক্ষতি করা হয়েছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও সার্বভৌমত্বের উপর৷ সেইসঙ্গে বিপুল আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে বলে ট্রাম্প দাবি করেন৷

মার্কিন জনগণের স্বার্থ রক্ষায় ট্রাম্প কতটা আন্তরিক, তা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি পিটসবার্গের প্রতিনিধি, প্যারিসের নয়৷’’ পিটসবার্গ শহরের মেয়র অবশ্য এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন৷

বলা বাহুল্য, এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ফলে দেশে-বিদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷ সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক বিবৃতিতে বর্তমান প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেন এবং ফেডারেল সরকারের এই নীতিকে অগ্রাহ্য করে রাজ্য, শহর কর্তৃপক্ষ ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির উদ্দেশ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে পরিবেশ সংরক্ষণের ডাক দেন৷

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্যারিস চুক্তি বাতিল করে বাকি বিশ্বের সঙ্গে নতুন করে এক চুক্তি স্বাক্ষরের আশা প্রকাশ করেন, যার শর্তগুলি মার্কিন স্বার্থের ক্ষতি করবে না৷ এমন প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিচ্ছেন পশ্চিমা জগতের একের পর এক নেতা৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ও ইটালির প্রধানমন্ত্রী পাওলো জেন্টিলোনি এক বিরল যৌথ বিবৃতিতে সাফ জানিয়ে দেন, প্যারিস চুক্তির রদবদল নিয়ে আলোচনা একেবারেই সম্ভব নয়৷ বাকি দেশগুলির উদ্দেশ্যে তাঁরা এই চুক্তি কার্যকর করার উদ্যোগ চালিয়ে যাবার আহ্বান জানিয়েছেন৷

জাতিসংঘের মহাসচিবের দপ্তর থেকেও ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়েছে৷

চীনের সরকারি শিনহুয়া সংবাদ সংস্থা এক সংবাদভাষ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে৷ শুক্রবার চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্যারিস চুক্তির প্রতি নতুন করে আস্থা দেখাতে চলেছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)