1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আমি ভাগ্যবান সমকামী পুরুষ : রিকি মার্টিন

৩০ মার্চ ২০১০

নিজেকে সমকামী ঘোষণা করে বোমা ফাটালেন পপ তারকা রিকি মার্টিন৷ দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে গুজব থাকলেও নিজের ওয়েবসাইটে অকপট স্বীকারোক্তিতে মার্টিন বলেছেন, আমি এটা বলতে পেরে গর্বিত বোধ করছি যে, আমি একজন ভাগ্যবান সমকামী পুরুষ৷

https://p.dw.com/p/MhiU
নারী ভক্তরা কি এবার হতাশ হবেন?ছবি: AP

মাদকতা ভরা কণ্ঠের সঙ্গে সুগঠিত দেহের অধিকারী মার্টিনের মঞ্চে ‘সালসা' মুদ্রার মতো পদচারণায় দুনিয়াজুড়ে যে লাখ লাখ ভক্তের হৃদয় কেঁপে উঠতো তার মধ্যে নারী ভক্তদের বিশেষ উন্মাদনা লক্ষ্য করা গেছে বরাবরাই৷ কিন্তু, নারীর প্রতি তাঁর আলাদা উৎসাহ দেখা যায়নি কখনোই৷ জল্পনা-কল্পনা আর গুজব ডালপালা ছড়াতে থাকে মার্টিন আসলে ‘গে' অর্থাৎ ‘সমকামী'৷

এ বিষয়ে আগে কখনোই মুখ খোলেন নি পুয়ের্তো রিকোর এই তারকা৷ ফলে সোমবার ওয়েবসাইটে নিজের গোপন যৌন জীবনের কথা প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তা তুমুল আলোড়ন তোলে সঙ্গীতের জগৎ আর শ্রোতা-ভক্তদের মাঝে৷ ৩৮ বছর বয়সি মার্টিন লিখেছেন, ‘‘এটা বলতে পেরে আমি গর্বিত বোধ করছি যে, আমি একজন ভাগ্যবান সমকামী পুরুষ৷ আমি খুবই আশীর্বাদপুষ্ট বলেই আমি যা তা হয়েছি৷''

শ্রোতা-ভক্তদের মার্টিন জানিয়েছেন, এই গোপনীয়তার ভার আর সইতে না পেরেই বিষয়টি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ উপদেষ্টা ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের পরামর্শমতো জনপ্রিয়তা আর ক্যারিয়ারের কথা ভেবেই বরাবর সমকামিতার কথা গোপন করে গেছেন বলে জানান তিনি৷ কিন্তু সম্প্রতি নিজের স্মৃতিকথা লিখতে শুরু করার পর আর এই ভার বহন করা সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে৷

মার্টিন লিখেছেন, ‘‘প্রথম ছত্রটি লিখে ফেলার মুহূর্ত থেকেই আমি নিশ্চিত হই যে, এই বই-ই আমাকে দীর্ঘদিন ধরে বয়ে বেড়ানো ওই বোঝা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে সহায়তা করবে৷''

নিজের জীবনের এই বিশাল মোড় পরিবর্তনকে আনন্দের সঙ্গেই উদযাপন করতে চান মার্টিন৷ আর সত্যকে স্বীকার করার মধ্য দিয়েই সত্যিকারের আনন্দলাভ সম্ভব বলে উপলব্ধি হয়েছে তাঁর৷ সেকথা উল্লেখ করে মার্টিন লিখেছেন, ভক্তদের বাইরেও নিজের দুই শিশুপুত্রের কথা ভেবেই সবচেয়ে দ্বিধান্বিত ছিলেন তিনি৷ কিন্তু, পরে তাঁর মনে হয়েছে, ‘‘খোলস থেকে বেরিয়ে আসাটাই শক্তি এবং সাহসের৷''

মূলত স্প্যানিশ ভাষাতেই গান করলেও ইংরেজি ভাষাভাষীদের মধ্যেও প্রায় সমান জনপ্রিয় রিকি মার্টিন৷ বিশেষত ১৯৯৯ সালের হিট অ্যালবাম ‘লিভিং দ্য ক্রেজি লাইফ' প্রকাশের পর মার্টিনের খ্যাতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে দুনিয়াজুড়ে৷ পরের বছরই টপ চার্টের শীর্ষে উঠে আসে মার্টিনের অ্যালবাম ‘সি ব্যাঙস্'৷

নিজের প্রজন্মের অন্য অনেক পপ তারকার মতোই শৈশব থেকেই রেকর্ডিং শিল্পী হিসেবে তারকা খ্যাতি জোটে মার্টিনের কপালে৷ আশির দশকের শুরুতেই পুয়ের্তো রিকোর ছেলেদের ব্যান্ড ‘মেনুদো'র শিল্পী হিসেবে জনপ্রিয় হন মার্টিন৷ নব্বই দশকে বিকশিত হয় মার্টিনের একক ক্যারিয়ার৷

ব্যক্তি জীবনের এই গোপনীয়তা প্রকাশের পর ভাল-মন্দ দুই-ই জুটেছে মার্টিনের কপালে৷ ওয়েবসাইটে মার্টিনের স্বীকারোক্তির নীচেই মন্তব্য লিখে অনেক ভক্তই তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ নিন্দাও জানিয়েছেন কেউ কেউ৷ তবে, বেশিরভাগ ভক্তই দ্বিধা করেন নি তাঁর সৎ সাহসের প্রশংসা করতে৷

প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ, সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন