1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরিয়েল শারনকে শেষ শ্রদ্ধা

১৩ জানুয়ারি ২০১৪

গভীর শ্রদ্ধায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল শারনকে শেষ বিদায় জানাচ্ছে ইসরায়েল৷ তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে মিত্র দেশগুলোর নেত্রীবৃন্দও গিয়েছেন সেখানে৷ সোমবারই তাঁকে সমাধিস্থ করার কথা৷

https://p.dw.com/p/1ApdZ
Ariel Sharon Beisetzung Trauerfeier Knesset Jerusalem
ছবি: Reuters

শনিবার ৮৫ বছর বয়সে মারা যান ইসরায়েলের সাবেক সামরিক কর্মকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল শারন৷ নিজের দেশের হয়ে প্রতিটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন তিনি৷ যু্দ্ধের সাফল্য তাঁকে এনে দিয়েছে বীরের মর্যাদা৷ সেই মর্যাদা অবশ্য শুধু ইসরায়েলবাসী এবং ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলোর কাছে৷ ফিলিস্তিন এবং তাদের মিত্রদের কাছে শারন চিরকালই ছিলেন সমালোচিত এবং নিন্দিত৷ ফিলিস্তিনীদের চোখে আরিয়েল শারন শুধু খলনায়কই নন, তিনি একজন ‘যুদ্ধাপরাধী'-ও৷

জীবদ্দশায় শুধু আরব দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের জয়েই ভূমিকা রাখেননি, ফিলিস্তিনের ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলে ইহুদিদের আবাস গড়ে তোলার কাজেও রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা৷ তবে জীবন সায়াহ্নে গাজা উপত্যকা থেকে সৈন্য এবং ৮ হাজার ইহুদি বসতি স্থাপনকারী প্রত্যাহারেও ভূমিকা রেখেছেন শারন৷ বিশ্বের অনেক দেশ ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের বিরোধ নিষ্পত্তিতে এই প্রয়াসের জন্যই স্মারণ করবে তাঁকে৷

আরিয়েল শারন রাজনীতিতে যোগ দেন ১৯৭৩ সালে৷ তবে প্রধানমন্ত্রী হতে দীর্ধদিন অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে তাঁকে৷ ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী হন শারন৷ ২০০৫ সালে ডানপন্থী লিকুদ পার্টি ছেড়ে গড়ে তোলেন অপেক্ষাকৃত মধ্যপন্থী দল কাদিমা পার্টি৷ ধারণা করা হচ্ছিল, আবার নির্বাচিত হয়ে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন৷ কিন্তু ২০০৬ সালে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি৷ কোমায় চলে যান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে৷ জীবনের শেষ আটটি বছর এভাবেই বেঁচে ছিলেন আরিয়েল শারন৷

সোমবার ইসরায়েলের সংসদ ভবনের সামনে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় আরিয়েল শারনকে৷ ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেস, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ দেশটির অনেক শীর্ষনেতা এবং বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতাও উপস্থিত ছিলেন৷ শিমন পেরেস এবং নেতানিয়াহু ইহুদিদের জন্য স্বাধীন দেশ গড়া এবং দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় অসাধারণ অবদানের জন্য সদ্য প্রয়াত নেতার প্রশংসা করেন৷ আরিয়েল শারনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট পেরেস বলেন, ‘‘দেশের মানুষের সেবা, দেশের উন্নয়ন এবং নিরাপত্তার কাজ অক্লান্তভাবে করে গেছ তুমি৷ এ দেশের ইতিহাস তোমাকে চিরকাল উষ্ণ আলিঙ্গনে জড়িয়ে রাখবে৷'' যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টোনি ব্লেয়ারও ইসরায়েলের স্বার্থের প্রশ্নে কোনোদিন আপোষ না করায় শারনের প্রশংসা করেছেন৷

দীর্ঘ আট বছর কোমায় থাকার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা আরিয়েল শারনকে সোমবার তাঁর পারিবারিক খামার বাড়িতে সমাধিস্থ করার কথা৷

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য