1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘নারীহত্যার’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

১২ এপ্রিল ২০১৭

হোমিসাইড নয়, ফেমিসাইড – নরহত্যা নয়, নারীহত্যা৷ ২১ বছর বয়সের মিকায়েলা গার্সিয়ার নগ্ন মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল একটি খোলা মাঠে৷ তাঁর শেষকৃত্যানুষ্ঠান হলো একটি স্টেডিয়ামে, হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে৷

https://p.dw.com/p/2b6X0
Argentinien Ni una menos Proteste Frauen Micaela Garcia
ছবি: Getty Images/AFP/E. Abramovich

মঙ্গলবার কনসেপসিওন দে উরুগুয়ে শহরের স্টেডিয়াম শোকার্ত আর আন্দোলনকারীতে ভরে যায় – বিশেষ করে আর্জেন্টিনার ‘‘নি-উনা-মেনোস'' বা ‘একজনও কম নয়' আন্দোলনের সদস্যরা নারীদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন ও আর্জেন্টিনার বিচার ব্যবস্থার সংস্কার দাবি করছেন৷ তাদের বক্তব্য: ফেমিসাইড বা নারীহত্যার মূল কারণ হলো, আর্জেন্টিনীয় সমাজে পুরুষদের চেয়ে নারীর মূল্য কম বলে গণ্য করা হয়৷

স্টেডিয়ামে সমাধি অনুষ্ঠানের পর মিকায়েলার মরদেহ ২৫টি পাড়া দূরের এক গোরস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়৷ পথের দু'ধারে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে শোকার্ত জনতা মিকায়েলা হত্যার বিচার দাবি করে৷

একটি নাইটক্লাব থেকে উধাও হবার এক সপ্তাহ পরে মিকায়েলার লাশ খুঁজে পাওয়া যায় গুয়ালেগুয়ে শহরের উপকণ্ঠের এক মাঠে৷ মিকায়েলার শরীরে ধর্ষণের চিহ্ন ছিল৷ গুয়ালেগুয়ে শহরটি আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেস থেকে ২৩৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এন্ত্রে রিওস প্রদেশে অবস্থিত৷

সহিংসতার বিরুদ্ধে মিকায়েলাও সক্রিয় ছিলেন

গুয়ালেগুয়েতে ফিজিক্যাল এডুকেশন নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন মিকায়েলা৷ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বস্তি এলাকায় কাজে করতেন এবং ‘নি-উনা-মেনোস' আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন৷ ‘একজনও কম নয়' আন্দোলনটি শুরু হয় ২০১৫ সালের তেসরা জুন এবং গত দু'বছর ধরে গণপ্রতিবাদের আয়োজন করে আসছে৷ মিকায়েলার মৃত্যু সেই আন্দোলনকেই আবার জোরদার করেছে৷

মিকায়েলার সমাধি অনুষ্ঠানের দিনেই নারী আন্দোলনকারীরা বুয়েনস আইরেসে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে সমবেত হয়ে নারীহত্যার বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর উদ্যোগ দাবি করেন৷

এ দেশের ভাষায় ‘সেক্সিস্ট' বা যৌনবাদীদের বলা হয় ‘মাকিস্টা' – কথাটা এসেছে ‘মাচো' শব্দ থেকে৷নেতৃস্থানীয় আন্দোলনকারী লুসিয়া কামারা জানালেন, আর্জেন্টিনায় প্রতি ১৮ ঘণ্টায় একজন নারী ‘মাকিস্টাদের' সহিংসতায় প্রাণ হারান৷

‘নট ওয়ান লেস’
ছবি: picture-alliance/Zuma/C. Santisteban

দেশের বিচার ব্যবস্থাও মিকায়েলার মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ৷ তাদের রোষের মূল লক্ষ্য হলেন বিচারক কার্লো রসি৷ মিকায়েলার সম্ভাব্য হত্যাকারীকে তিনিই গত বছর জামিনে মুক্তি দেন৷ ‘সেবাস্তিয়ান' নামের ঐ আসামী যৌন অপব্যবহারের দু'টি ঘটনার জন্য ২০১২ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়, কাজেই তার ২০২০ সালে অবধি কারারুদ্ধ থাকার কথা ছিল৷

‘‘এখানে দু'টি পক্ষ দায়ী, উভয়েই পুরুষতান্ত্রিক ও পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা ও সংস্কৃতি থেকে উৎপন্ন'', বলেছেন জাতীয় নারী উপদেষ্টা পরিষদের অধ্যক্ষা ফাবিয়ানা তুনেজ৷ আর্জেন্টিনার ‘লা নাসিওন' দৈনিককে তিনি বলেন, ‘‘একদিকে আততায়ী, অন্যদিকে বিচারক৷''

এন্ত্রে রিওস প্রদেশের সরকার এবং বিরোধীপক্ষের বিধায়করা ইতিমধ্যেই রসির বরখাস্ত দাবি করে আবেদনপত্র দাখিল করেছেন৷ জনরোষ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, প্রেসিডেন্ট মাউরিসিও মাক্রি নিজে বিচারক রসির অপসারণ দাবি করেছেন৷ ‘‘আমাদের এ ধরনের বিচারক থাকলে চলবে না'', শনিবার ‘মিটার' বেতারকেন্দ্রকে বলেছেন তিনি৷

এসি/এসিবি (ডিপিএ, ইএফই)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান