‘আর্থ আওয়ার’-এ আলোবিহীন বিভিন্ন দেশ
২৭ মার্চ ২০১০উদ্যোগের নাম ‘আর্থ আওয়ার ২০১০'৷ এর আওতায় প্রতিটি দেশের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত বাতি নিভিয়ে রাখার আহ্বান জানায় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার বা ডব্লিউডব্লিউএফ৷ গ্রিনিচ মান সময়ের দিক থেকে এগিয়ে থাকায় জার্মানির স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত যে খবর তাতে এশিয়ার প্রায় সব বড় বড় শহরেই পালন করা হয়েছে এক ঘন্টার এই বাতি নেভানোর কার্যক্রম৷
এই প্রসঙ্গে আর্থ আওয়ার এর নির্বাহী পরিচালক এন্ডি রিডলে জানান, ব্রাজিল হতে আমেরিকা কিংবা ক্যানাডা থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই উদ্যোগে অংশ নিচ্ছে৷
শনিবার আর্থ আওয়ার শুরু হয় নিউজিল্যান্ডের ক্যাথাম দ্বীপপুঞ্জ থেকে৷ স্থানীয় সময় রাত ঠিক সাড়ে আটটায় ছোট্ট দ্বীপগুলোর সব বাতি নিভিয়ে ফেলা হয়৷ ঘড়ির কাটার সঙ্গে সঙ্গেই ২৪ ঘন্টায় সর্বশেষ যেখানটায় আর্থ আওয়ার এর বাতি নিভবে সেটির নাম সামওয়া৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে প্রতীকী এক ঘন্টার এই বাতি নেভানো কার্যক্রম প্রথম শুরু হয় ২০০৭ সালে, অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে৷ এরপর এটিকে বৈশ্বিক রূপ দেয়া হয়৷ ২০০৯ সালে আর্থ আওয়ার-এ অংশ নেয় ৮৮টি দেশের প্রায় ৬০০ মিলিয়ন সাধারণ মানুষ৷
এই বছর আর্থ আওয়ারের পরিধি আরো বেড়েছে৷ আয়োজক ডব্লিউডব্লিউএফ জানাচ্ছে, ২০১০ সালের আর্থ আওয়ার এ যোগ দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ১২৬টি দেশ৷ শুধু তাই নয়, অনেক বড় বড় শহরে আর্থ আওয়ারকে উপভোগ্য করে তুলতেও নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ৷ আর এরফলে জ্বালানি বা শক্তিও কিন্তু সাশ্রয় হচ্ছে বেশ খানিকটা৷
অবশ্য, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সাধারণ মানুষ নাকি আর্থ আওয়ার নিয়ে বিশেষ কিছু করার সুযোগ পাননি৷ কারণ সেখানে নিয়মিত বিরতিতেই ‘লোডশেডিং' এর নামে বিদ্যুৎ নিজে থেকে চলে যাচ্ছে৷ ফলে এই উপলক্ষ্যে বাতি নেভাতে চাইলেও, তা এমনিতেই বন্ধ ছিল!
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার