1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আলফন্স মুখার আঁকা চিত্র নিয়ে আদালতে লড়াই

৯ সেপ্টেম্বর ২০১০

চেক চিত্রশিল্পী আলফন্স মুখার ২০টি চিত্র নিয়ে চেক এবং স্লাভদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে৷ স্বনামধন্য এই চেক চিত্রশিল্পী ১৯৩৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন এবং পেছনে রেখে যান অসামান্য কিছু চিত্রকর্ম৷

https://p.dw.com/p/P7V7
আলফন্স মুখা যে ধরণের ছবি আঁকতেন তার নাম ‘আর্ট নুভো'ছবি: dpa/pa

আলফন্স মুখা যে বিশেষ ধরণের ছবি আঁকতেন তার নাম ‘আর্ট নুভো' অর্থাৎ নতুন ধরণের শিল্প৷ তাঁর আঁকা প্রায় ২০টি বিভিন্ন ধরণের পেইন্টিং রয়েছে মোরাভস্কি ক্রুমলভ শহরের জীর্ণ একটি প্রাসাদে৷ প্রতিটি পেইন্টিং-এর বিষয় হল স্লাভ জাতি, তাদের দৈনন্দিন জীবন৷ বিগত ৪৭ বছর ধরে পেইন্টিংগুলো মোরাভস্কি ক্রুমলভ শহরে রয়েছে৷

১৯৬৩ সালে প্রথমবারের মত জনসাধারণের জন্য পেইন্টিংগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়৷ তখন থেকেই সেগুলো প্রাসাদে রয়েছে৷ রাজধানী প্রাগ এখন এই চিত্রগুলো ফেরত চাইছে৷ পেইন্টিংগুলো নতুন করে শোভা পাবে ভেলেতস্রিনি প্যালেস গ্যালারিতে৷ ক্রুমলভ শহরের মানুষ একারণে ক্ষিপ্ত৷

ক্ষুব্ধ ক্রুমলভের মানুষরা

ক্রুমলভ শহরের ক্ষিপ্ত এক ভদ্রলোক জানালেন, ‘‘স্লাভদের সেই বিশেষ সময়গুলোর সঙ্গে ক্রুমলভের মানুষ নিজেদের একাত্ম করে৷ এর সঙ্গে এখানকার মানুষদের আবেগ জড়িত৷ এখানে বেশ ভালো যত্ন নেওয়া হচ্ছে ছবিগুলোর৷ আমরা কখনোই এই পেইন্টিংগুলোকে ‘শুধুই আমাদের' বলে ভাবিনি৷ তবে প্রাগে বিশেষ কোন প্যাভিলিয়ন গড়ে উঠলে ছবিগুলোকে সেখানে পাঠাতে আমরা সবসময়ই রাজি৷ আমরা পেইন্টিংগুলোকে বিদায় জানাবো৷ কোন দেরি হবে না৷''

প্রাগ থেকে প্রায় দুশো কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মোরাভস্কি ক্রুমলভ৷ জীর্ণ সেই প্রাসাদের আশেপাশে সবসময়ই পর্যটকেরা ঘোরাঘুরি করছে৷ বেশির ভাগ পর্যটকই চেক, এরপর রয়েছে রুশ এবং পোলিশরা৷ পেইন্টিংগুলোতে মূলত চেক আর পূর্ব ইউরোপের স্লাভ জাতিদের তুলে ধরা হয়েছে৷

পেইন্টিং ফেরত চাইছে প্রাগ

এ বছরের শুরুতে প্রাগ ছবিগুলো ফেরত চেয়েছে৷ জানানো হয়েছে তা ছিল শিল্পী মুখার একান্ত ইচ্ছা – ছবিগুলো যেন প্রাগে থাকে৷ মুখা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আলফন্স মুখার পরিবার৷ তারা মোরাভস্কি ক্রুমলভ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছে ছবিগুলোকে ক্রুমলভে ধরে রাখার জন্য৷ শুরু হয়েছে বিরোধ৷

আলফন্স মুখা প্রায় দুই দশক ধরে ছবিগুলো আঁকেন৷ ১৯২৮ সালে তিনি ছবিগুলো প্রাগ শহরকে দান করে যান একটি শর্তে তা হল – ছবিগুলো রাখার জন্য বিশেষ একটি প্যাভিলিয়ন গড়তে হবে৷ রাজধানী প্রাগ কখনোই তা করেনি৷ ১৯৩৯ সালে মুখা মার যাওয়ার পর স্লাভ জাতিদের বিশেষ সেই পেইন্টিংগুলো চাপা পড়ে যায় যুদ্ধ এবং ধ্বংসের অতলে৷ ১৯৪৮ সালে ছবিগুলো পুনরোদ্ধার করা হয়৷ তখন থেকেই মোরাভস্কি ক্রুমলভ শহরের স্থায়ী বাসিন্দা এই ২০টি পেইন্টিং৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন