1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আল-কায়েদা’র তিন নম্বর নেতা মিসরি পাকিস্তানে নিহত

১ জুন ২০১০

জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদা’র তৃতীয় শীর্ষ নেতা শেখ সাইদ আল-মিসরি সম্প্রতি পাকিস্তানে এক মার্কিন ক্ষেপনাস্ত্র আক্রমণে নিহত হয়েছে৷ গোষ্ঠীর জন্য এটা এক বিরাট আঘাত৷ মিসরি আক্রমণ পরিচালনা থেকে তহবিল সংগ্রহ করতো তার সংগঠনের জন্য৷

https://p.dw.com/p/NedU
আল-কায়েদা শেখ সাইদ আল-মিসরছবি: AP

মনে করা হচ্ছে শেখ সাইদ আল-মিসরি, যিনি মুস্তফা আবু আল-ইয়াজিদ নামেও পরিচিত, তার পরিবারের সদস্যারা সহ নিহত হয় পাইলটবিহীন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালিত ড্রোন বিমান আক্রমণে৷ আল-কায়েদা সোমবার সকালে ইসলামি ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে৷

ওয়াশিংটনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আল-মাসরি সম্প্রতি পাকিস্তানের উপজাতি এলাকায় নিহত হয়েছে৷ তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এটা এক বিরাট বিজয়৷ একজন পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মী বলেছেন, ইয়াজিদ গত একুশে মে'র রাতে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে খুব সম্ভবত এক ক্ষেপনাস্ত্র আক্রমণে নিহত হয়েছে৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ কর্মকর্তা জানান, আমরা খবর পাই যে, ঐ আক্রমণে তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ এক আরব নিহত হয় এবং আমার মনে হয় সেই ব্যক্তিই সম্ভবত মিসরি৷ যে গ্রামে আক্রমণটি চালানো হয় সেই গ্রামের এক বাসিন্দা জানান যে, মিসরি'র স্ত্রীও ঐ ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে নিহত হয়েছে৷ মার্কিন-ভিত্তিক সাইট গুপ্ততর সংস্থা জানিয়েছে, তার স্ত্রী ছাড়াও ড্রোন আক্রমণে নিহত হয় তার তিন মেয়ে, নাতি এবং আরো কয়েকজন পুরুষ, মহিলা এবং শিশু৷

ওদিকে, জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ পরিবেশিত এক খবরে বলা হয়েছে, চার জন বন্দুকধারী লাহোরের একটি হাসপাতালে আক্রমণ চালিয়ে চার জন পুলিশ এবং দুইজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে৷ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন তাদের এক সদস্যকে তারা সেখান থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করেছিল৷ ইসলামাবাদে কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন৷

পুলিশের ইউনিফর্ম পড়ে তারা সোমবার মধ্যরাতের স্বল্প আগে জোর করে জিন্নাহ হাসপাতালে প্রবেশ করে এবং এক বন্দুক-যুদ্ধে লিপ্ত হয় যা স্থায়ী হয় প্রায় ৪৫ মিনিট৷ তবে তারা তাদের সতীর্থকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়৷ তাকে লাহোরে আটক করা হয় গত শুক্রবার সংখ্যালঘু আহমাদি সম্প্রদায়ের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর সময়৷ যাতে নিহত হয় ৯৭ ব্যক্তি৷

জিন্নাহ হাসপাতালের প্রধান জাভেদ আকরাম বলেন, গোলাগুলিতে ছয় ব্যক্তি নিহত হয়৷ এদের মধ্যে রয়েছে, চার পুলিশ যারা আটক ব্যক্তির প্রহরায় ছিল৷ দুই অসামরিক ব্যক্তিও নিহত হয় এবং ছয় আহত হয়৷ পাঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ প্রধান তারিক সেলিম ডোগার বলেছেন, চার আক্রমণকারীই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷

প্রতিবেদন: আবদুস সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ