1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আশার আলো নিভে গেছে’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২০ আগস্ট ২০১৩

প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী এখন যার যার জায়গায় কঠোর অবস্থান নিয়েছেন৷ গত দুই দিনে রাজনীতিতে এই ‘পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন’ অবস্থা দেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের হতাশ করেছে৷ তাঁরা সামনে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না৷

https://p.dw.com/p/19SNh
epa03822705 A dog walks past security officials that stand guard in the streets during the 48-hour country wide strike called by Jamaat-e-Islami at Paltan in Dhaka, Bangladesh, 13 August 2013. Jamaat-e-Islami has called the shutdown in a protest against a High Court verdict that declared illegal the party's registration with the Election Commission. EPA/ABIR ABDULLAH +++(c) dpa - Bildfunk+++
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa

একদিন আগে রবিবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে আগামী নির্বাচনের সরকার ব্যবস্থা নিয়ে তাঁর অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন৷ তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি নাকোচ করে দিয়ে বলেছেন, ‘‘সংবিধান থেকে এক চুলও নড়বো না''৷ অর্থাৎ, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী৷ জানা গেছে, সরকার সেই মতোই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ আর শেখ হাসিনাই হচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান৷

Sheikh Hasina headshot, as Bangladesh main opposition leader and former Prime Minister, Bangladesh Nationalist Party, or BNP, Chairperson Khaleda Zia gestures at a press conference in Dhaka, Bangladesh, Tuesday Oct. 2, 2001. Former Prime Minister Khaleda Zia's coalition, which includes three Islamic fundamentalist parties, appeared headed for a landslide win in Bangladesh's parliamentary elections, according to unofficial vote counts Tuesday. (AP Photo/Amit Bhargava)
প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী এখন যার যার জায়গায় কঠোর অবস্থান নিয়েছেনছবি: AP/DW

এর একদিন পর, সোমবার, এর জবাবে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘‘জনগণ আন্দোলনে গেলেই কিন্তু চুল উড়ে যাবে৷ এমন আন্দোলন হবে, চুল উড়ে দিশেহারা হয়ে যাবেন৷ চুল তো থাকবেই না, অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি পড়বে৷'' তিনি বলেন, নির্বাচন দিতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই৷

দেশের প্রধান দুটি দলের দুই নেত্রীর এই চরম বিপরীত অবস্থানের কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদাক ড. বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, তাঁরা যা বলছেন তা যদি তাঁদের মনের কথা হয় তাহলে সামনে অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই নেই৷ সংঘাত-সংঘর্ষ অনিবার্য৷ এই সংঘাতে দেশের পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা বলা কঠিন৷ তবে এতে যে দেশ এবং দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা নিশ্চিত করে বলা যায়৷

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে বলা হয় সমঝোতার শিল্প৷ আমাদের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল সমঝোতা থেকে এখন অনেক দূরে চলে গেছে৷ তারা এখন যুদ্ধে নামবে বলে মনে হয়৷ তবে সেই যুদ্ধে দু'দলের কেউই না জিততেও পারেন৷ অন্য কোনো পক্ষ সুযোগ নিতে পারে৷

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, মাত্র ২-৩ দিনের মধ্যে রাজনীতি চরম অনিশ্চিত হয়ে উঠল৷ এর আগে দুই বড় দলের যতই দূরত্ব থাকুক, সংলাপ-সমাঝোতার আশা ছিল৷ শীর্ষ নেতৃত্ব অন্তত সংলাপের কথা বলেছেন৷ কিন্তু এখন যে যাঁর অবস্থান নিয়ে ফেলেছেন৷ দুই দল দুই মেরুতে৷ তাই দেশের মানুষ আতঙ্কিত৷ তাঁর মতে, আশার যে শেষ আলোটুকু ছিল তা প্রধানমন্ত্রী এবং পরে বিরোধী দলীয় নেত্রীর কথায় নিভে গেছে৷ এখন বাকি আছে চরম সংঘাত আর সংঘর্ষ৷

হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, আগে যে যাই বলুন না কেন এখন মনে হচ্ছে তাঁরা কি করবেন তা তাঁরা আগেই থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন৷ সংলাপ, সমঝোতার কথা বলে তাঁরা সময় নষ্ট করেছেন মাত্র৷

তিনি বলেন, দেখে-শুনে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সমঝোতা ছাড়াই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ আর বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করার জন্য প্রস্তুত৷ তাঁর মতে, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে, আর সব দল যদি অংশ না নেয়, তাহলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না৷

ওদিকে ড. বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, এই পরিস্থিতি নির্বাচন হবে বলে তাঁর মনে হয় না৷ হয়ত সরকার তার ক্ষমতার মেয়াদ প্রলম্বিত করবে৷ কিন্তু তাতে নতুন করে এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে, যা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য