1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আশা ছাড়বেন না: সু চি

১৪ নভেম্বর ২০১০

কোন প্রতিশোধ নয়, বরং সকলকে সঙ্গে নিয়ে মিয়ানমারের উন্নয়নে কাজ করতে চান সু চি৷ মুক্তির পর রবিবার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন তিনি৷ সু চি’র বক্তব্য শুনতে ইয়াঙ্গনে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে জড়ো হয় হাজার দশেক মানুষ৷

https://p.dw.com/p/Q8K3
অং সান সু চিছবি: AP

সু চি'র বক্তব্য

বিরোধ মিটিয়ে সব দলকে সঙ্গে নিয়ে মিয়ানমারের জনগনের উন্নয়নে কাজ করতে চান অং সান সু চি৷ রবিবার ইয়াঙ্গনে তাঁর দল জাতীয় গণতান্ত্রিক লিগ বা এনএলডি কার্যালয়ে এই আগ্রহের কথা জানান গণতন্ত্রের মানস কন্যা৷ তিনি বলেন, মিয়ানমার এবং গণতন্ত্রের জন্য ভালো কাজ করতে আগ্রহী যে কারো সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আমি৷ এসময় এনএলডি কার্যালয় ঘিরে জড়ো হয় প্রায় দশ হাজার মানুষ৷ সমবেতদের উদ্দেশ্যে সু চি'র আহ্বান, আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে৷ এছাড়া তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আশা ছাড়বেন না, হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই৷

Myanmar Aung San Suu Kyi Urteil Flash-Galerie
সু চি’র সমর্থনে সাধারণ মানুষের অবস্থান (ফাইল ফটো)ছবি: AP

রাজনীতিতে সু চি

সু চি চাইছেন প্রথমে জনগণের কথা শুনতে৷ তাঁর বক্তব্যেও বিষয়টি পরিষ্কার৷ তিনি বলেন, সরকার জনগণের নজরে থাকাকে বলে গণতন্ত্র৷ আমিও চাইবো জনগণ আমাকে নজর রাখুক৷ এছাড়া দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর ভবিষ্যত রাজনৈতিক কর্মপন্থা নির্ধারণ করবেন সু চি৷ এখানে বলে রাখা ভালো, জনসমর্থনের দিক দিয়ে মিয়ানমারে সু চি'র অবস্থান বেশ শক্ত৷ ১৯৯০ সালের নির্বাচনেও জয়ী হয় তাঁর দল৷ কিন্তু সামরিক জান্তা সু চি'কে ক্ষমতায় যাবার সুযোগ দেয়নি৷

সমাবেশে বাধা দেয় নি সামরিক জান্তা

এখন পর্যন্ত যে খবর, তাতে রবিবারের জনসমাবেশে কোন ধরনের বাধা দেয়নি সামরিক সরকার৷ তবে, এনএলডি কার্যালয়ের আশেপাশে সেনা উপস্থিতি ছিল৷ সাংবাদিকদের সঙ্গে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যদেরও দেখা গেছে৷ তারা সু চি'র সমর্থকদের ছবি তুলেছে৷ সু চি কিন্তু জানিয়েছেন, কোন ধরণের প্রতিশোধ নেবার মানসিকতা তাঁর নেই৷ তাছাড়া আটকে রাখলেও সামরিক জান্তা সরকারের প্রতি রুষ্ট নন তিনি৷

রাজনৈতিক বিশ্লেষণ

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে মত পার্থক্য প্রবল৷ কেউ কেউ বলছেন, সু চি সম্ভবত জান্তা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন৷ কিন্তু অনেকে এই মতের বিরোধী৷ এদেরই একজন মং জারনি৷ সাবেক এই ছাত্র নেতার বক্তব্য হচ্ছে, এই মুক্তির অর্থ এটা নয় যে জান্তা সরকার সু চি'র সঙ্গে আলোচনায় বসবে৷ বরং তারা সম্ভবত ধরে নিয়েছে যে সু চি আর শক্ত হাতে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন না৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য