1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসন বণ্টন নিয়ে কংগ্রেস-ডিএমকে জট খুলেছে

৯ মার্চ ২০১১

তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে দুই শরিক কংগ্রেস ও দক্ষিণের আঞ্চলিক দল ডিএমকের জট খুলে গেলেও পশ্চিমবঙ্গে আসন রফা নিয়ে দুই শরিক কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে টানাপোড়েন সবে শুরু হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/10VyN
Congress Party, india
কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে টানাপোড়েন সবে শুরুছবি: UNI

আগামী মাস থেকে শুরু হচ্ছে ৫টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন৷ আসন রফা নিয়ে কংগ্রেস ও তার শরিক দলগুলির মধ্যে শুরু হয় দর কষাকষির পালা৷ দক্ষিণের ডিএমকে দলের সঙ্গে এই নিয়ে যে অচলাবস্থা চলছিল তা কেটে গেছে৷ গত তিনদিন ধরে দফায় দফায় আলাপ আলোচনার পর কংগ্রেসের দাবিমত ৬৩টি আসন দিতে রাজি হয়েছে ডিএমকে দল৷ কংগ্রেসের প্রণব মুখোপাধ্যায়, গোলাম নবি আজাদ এবং ডিএমকের আলাগিরি ও দয়ানিধি মারান আলোচনায় নেতৃত্ব দেন৷ এর ফলে তামিলনাড়ুর ২৩৪টি আসনের মধ্যে ডিএমকে লড়বে ১২১টি আসনে৷ পিএমকের মত ছোট শরিক দল পাচ্ছে ৩০টি আসন৷ আসন বণ্টনকে ঘিরে পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে ডিএমকে কেন্দ্রের জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ তাতে নির্বাচনের মুখে উভয় দলেরই লোকসান হতো৷

পশ্চিমবঙ্গে অপর শরিক তৃণমূলের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে এখন কংগ্রেসের কপালে ভাঁজ৷ দর কষাকষি সহজ হবেনা৷ আলোচনা শুরু হয়েছে দিল্লিতে৷ রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস প্রাথমিকভাবে দাবি করেছে ৯৮টি আসন৷ তৃণমূল দিতে চাইছে ৫৮টি আসন৷ তাদের যুক্তি হলো, গত সংসদীয় নির্বাচনে কংগ্রেস পায় ৬টি আসন৷ একটি সংসদীয় আসনে থাকে ৭টি বিধানসভা আসন, সেই হিসেবে হয় ৪২টি আসন৷ তার থেকে আরো ১৬টি আসন ছাড়তে রাজি৷ তার বেশি নয়৷ কংগ্রেসের মতে, গত সংসদীয় নির্বাচন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্যের ভিত্তিতে কংগ্রেসের পাওয়া উচিত ৭০-এর বেশি৷ তবে আলোচনার গতিপ্রকৃতিতে একটা কথা মোটের ওপর স্পষ্ট, কোন পক্ষই এমন অবস্থান নিতে চাইছেনা যাতে জোট ভেস্তে যায়৷ জোট রাখাটা উভয় পক্ষের কাছে জরুরি৷ কংগ্রেসের যেমন কেন্দ্রে তৃণমূলকে দরকার, তেমনই তৃণমূলেরও রাজ্যে সিপিএমকে ক্ষমতাচ্যুত করতে কংগ্রেসের হাত ধরাটা জরুরি৷ উভয় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সেই বার্তাই দিয়েছে দলকে৷ জোট বজায় রেখে কেন আরো বেশি আসন পাওয়া উচিত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত শাকিল আহমেদের কাছে সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুঁইয়া৷

এদিকে পরিবারতন্ত্রের ধারা বজায় রেখে এবার কংগ্রেসের নির্বাচন প্রার্থী হচ্ছেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিত মুখোপাধ্যায়৷ সেজন্য তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্পাত সংস্থার জেনারেল ম্যানেজারের পদে ইস্তফা দেন গতকাল৷ সম্ভবত তিনি দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বীরভূমের নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন