1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসাঞ্জের গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় কোন ভুল নেই: সুইডেন

২ ডিসেম্বর ২০১০

‘উইকিলিক্স-প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় গলদ আছে'– দ্য টাইমস পত্রিকায় এই খবর প্রকাশের পরে সুইডিশ পুলিশ দাবি করেছে, আসাঞ্জের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার সময়ে কোন ধরণের ভুল করা হয়নি৷

https://p.dw.com/p/QNwN
আইনী টানাপোড়েনের মধ্যে আসাঞ্জছবি: picture alliance/dpa

ওদিকে সুইডেনের সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিয়েছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে আসাঞ্জ'এর আপিলের শুনানি প্রত্যাখ্যান করেছে আদালত৷ যার অর্থ এই পরোয়ানা বহাল রইল৷

টাইমস পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উইকিলিক্স ওয়েবসাইটের প্রধান জুলিয়ান আসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার সময় সুইডেন কর্তৃপক্ষ পুরো প্রক্রিয়ায় কিছু একটা ভুল করেছিলেন, আর তাই ব্রিটেনে অবস্থান করেও, কৌশলে গ্রেপ্তার এড়িয়ে যাচ্ছেন আসাঞ্জ৷

Dossier Bild 3 Wikileaks
গোটা দুনিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছে উইকিলিক্সছবি: dpa

দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবারজানানো হয়েছে, ব্রিটিশ পুলিশ জানে, উইকিলিক্সের প্রতিষ্ঠাতা কোথায় লুকিয়ে আছেন৷ ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণপূর্ব ইংল্যান্ডের কোন একটা জায়গায় অবস্থান করছেন তিনি৷ কিন্তু ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সঠিকভাবে জারি না হবার কারণে এই তথ্য তাদের হাতে থাকা সত্ত্বেও কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না৷

যৌন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে সুইডিশ কর্তৃপক্ষ আসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ১৯শে নভেম্বর৷ এর একদিন পরেই আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল আসাঞ্জকে তাদের ওয়ান্টেড তালিকার অন্তর্ভুক্ত করে৷ সুইডেনের জাতীয় অপরাধ পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘আমাদের জন্যে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় কোন সমস্যা নেই, তারপরেও আমরা তদন্ত করে দেখছি৷'' তিনি বলেন, ‘‘এই মুহুর্তে আমরা যুক্তরাজ্যের পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানতে চেষ্টা করছি, সমস্যাটা কোথায়৷''

ব্রিটিশ পুলিশের একটি সূত্র দ্য টাইমসেকে জানিয়েছে, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরী নয়৷ সূত্রটি বলেছে, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মধ্যে গলদ আছে, তাই আমরা এই ব্যাপারে কাজ করতে পারছি না৷ সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, সুইডিশ পুলিশ আসাঞ্জের বিরুদ্ধে নতুন একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করবে৷

এদিকে আসাঞ্জের যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আইনজীবি মার্ক স্টেফান বলেছেন, ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এবং আরো বেশ কয়েকটি দেশের নিরাপত্তা সার্ভিস তার অবস্থান সম্পর্কে জানেন৷ উল্লেখ্য, গত রবিবার আসাঞ্জের ওয়েবসাইট যখন যুক্তরাষ্ট্রের আড়াইলাখেরও বেশি সরকারি নথিপত্র প্রকাশ করতে শুরু করে তখন থেকেই আসাঞ্জকে আর দেখা যায়নি৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক