1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসিয়ান শীর্ষবৈঠকে থাই-কাম্বোডীয় বিরোধের ছায়া

৭ মে ২০১১

জাকার্তায় আলোচনা করার মতো আরো অনেক বিষয় ছিল৷ কিন্তু একটি বুদ্ধমন্দির ও তার সংলগ্ন জমিকে কেন্দ্র করে বর্তমানে দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়ায় বৃহত্তম সশস্ত্র সংঘাতকে এড়িয়ে যাবারও কোনো উপায় ছিল না৷

https://p.dw.com/p/11BLB
সীমান্তে থাই সেনাদের সতর্ক নজরছবি: AP

শীর্ষবৈঠক উদ্বোধন করার সময় ইন্দোনেশিয়ায় প্রেসিডেন্ট সুশিলো বামবাং ইয়োদোয়োনো ঐ সংঘাতের উল্লেখ পর্যন্ত করেননি৷ তিনি আসিয়ান এলাকায় খাদ্য এবং জ্বালানি সরবরাহের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন৷ আসিয়ানকে কিভাবে আরো তাড়াতাড়ি একটি অর্থনৈতিক জোট করে তোলা যায়, সেই তাগাদা দিয়েছেন৷

এবং কাম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ডের প্রতিনিধিরা সেই শীর্ষবৈঠককে দ্বিতীয় রণাঙ্গণে পরিণত করেছেন৷ পরষ্পরের প্রতি তির্যক বাণ নিক্ষেপের কোনো অভাব ছিল না৷ দৃশ্যত কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন প্রথম অধিবেশনেই প্রিয় বিহার মন্দিরটির প্রসঙ্গ তোলেন এবং থাইল্যান্ডকে তুলোধোনা করেন৷ হুন সেন বলেছেন, থাইল্যান্ড প্রথমে কাম্বোডিয়ায় ইনভেশন, মানে জবরদখল অভিযান চালায়৷ ওদিকে থাই প্রধানমন্ত্রী অভিসিত ভেজ্জাজিভার বক্তব্য ছিল, কাম্বোডিয়া একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়কে আন্তর্জাতিক করে তোলার উদ্দেশ্যে যুদ্ধ শুরু করে৷

Thailand Kambodscha
দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষছবি: AP

বস্তুত আসিয়ানের অন্তত ফোরাম হিসেবে সদস্য দেশদের মধ্যে এ'ধরণের সমস্যা মেটানোয় একটা ভূমিকা রাখা উচিত৷ এবং এককভাবে ইন্দোনেশিয়া তা রাখছেও৷ এমনকি এখনও ইয়োদোয়োনো'কে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে মধ্যস্থ করে হুন সেন এবং ভেজ্জাজিভার একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের কথা চলছে৷ এ'বছর আসিয়ানের সভাপতিদেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া ইতিপূর্বেই প্রিয় বিহার এলাকায় ৩০ জন পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে৷ কিন্তু তার পূর্বশর্ত হল, ব্যাংকক এবং নম পেন'কে মন্দির এবং সংশ্লিষ্ট বিতর্কিত এলাকা থেকে সব সৈন্য সরিয়ে নিতে হবে৷ কিন্তু কাম্বোডিয়া অন্তত মন্দিরটি থেকে সৈন্য সরাতে রাজি নয়৷

অর্থাৎ এই বৈঠক থেকে কোনোরকম সমাধানের বিশেষ আশা নেই৷ কোনো সমাধান প্রত্যাশাও করা হচ্ছে না৷ কাম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হর নামহং জাকার্তায় বসেই ইন্দোনেশিয়াকে এক হাত নিয়ে নিয়েছেন৷ বলেছেন: ডিম আগে না মুরগি আগে করলে চলবে না৷ আগে পর্যবেক্ষক পাঠাও৷ পরে জয়েন্ট কমিশন বসবে৷

ওদিকে মিয়ানমারের ২০১৪ সালে আসিয়ানের সভাপতিদেশ হওয়া নিয়ে যে ঝড় উঠেছে, মানুষ পাচার, বহিরাগত শ্রমিক ইত্যাদি বিষয়ের মতো সেটাও কিছুটা ধামাচাপা পড়ে গেছে৷ তবে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি তো আগেই বলেছে: মিয়ানমার সভাপতি হলে আসিয়ান সারা বিশ্বের হাসির খোরাক জোটাবে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম