1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আস্থা ভোটে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ব্যারলুস্কোনি

১৪ ডিসেম্বর ২০১০

ইটালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও ব্যারলুস্কোনি সাংঘাতিক স্বল্প ব্যবধানে নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষা করেছেন৷ ইটালির সংসদের নিম্নকক্ষে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে তিন ভোটে জিতে যান তিনি৷

https://p.dw.com/p/QXvv
মঙ্গলবার সেনেটে ব্যারলুস্কোনিছবি: AP

ইটালির নিম্নকক্ষ

ইটালির সংসদের নিম্নকক্ষ চেম্বার অফ ডেপুটিঝ'এ ব্যারলুস্কোনির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয় মঙ্গলবার৷ ভোটাভুটিতে ইটালির এই বহুল বিতর্কিত প্রধানমন্ত্রী অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন ভরাডুবি থেকে, মাত্র তিন ভোটে জিতেছেন তিনি৷ নিম্নকক্ষে ৩১৪ জন সাংসদ ব্যারলুস্কোনির পক্ষে অবস্থান নেন৷ অন্যদিকে, ৩১১ জন সাংসদের অবস্থান ছিল তাঁর বিপক্ষে৷ তবে নিম্নকক্ষে বিরোধিতা বাড়তে থাকায় ভবিষ্যতে কঠিন সময়ই পার করতে হবে ব্যারলুস্কোনিকে৷

উচ্চকক্ষেও জয়ী

মঙ্গলবার সকালে সংসদের উচ্চকক্ষ সেনেটে আস্থা ভোটে ভালোভাবেই উৎরে যান সিলভিও ব্যারলুস্কোনি৷ সেখানে ৩০৯ ভোটের মধ্যে ১৬২ ভোট পান ইটালির এই শীর্ষ নেতা৷ তবে এখানে বলতেই হয়, গত ১৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ব্যারলুস্কোনির জন্য সবচেয়ে কঠিন দিন ছিল আজকে৷ এরকম গুরুতর রাজনৈতিক সংকটে এর আগে কখনো পড়েননি তিনি৷

বিপাকে ব্যারলুস্কোনি

এই মুহূর্তে ইটালির অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ খারাপ৷ বাড়ছে বেকারত্বের হার৷ কিছুদিন আগে নেপেল্স শহরে বর্জ্য সংরক্ষণ নিয়েও ইটালির প্রধানমন্ত্রী বিপাকে পড়েন৷ তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ব্যারলুস্কোনির নারী প্রীতির নানা কেচ্ছা৷ অভিযোগ উঠেছে, দেশের অর্থনীতির সঙিন দশা সত্ত্বেও সুন্দরী নারীদের নিয়ে বিভিন্ন দ্বীপে উৎসব আনন্দে মেতেছেন ইটালির এই শীর্ষ রাজনীতিক৷ এসব কারণে ইটালির ক্ষমতাসীন মধ্য ডানপন্থী জোট সরকারেও ভাঙন ধরে৷ ব্যারলুস্কোনির দীর্ঘদিনের জোট সঙ্গী, সংসদের স্পীকার জ্যানফ্রাংকো ফিনি ক্ষমতাসীন জোট থেকে বেরিয়ে যান৷ তাঁর সঙ্গে জোটত্যাগ করেন জনাচল্লিশেক সাংসদ৷

ইটালিতে বিক্ষোভ

রোমসহ ইটালির বড় বড় শহরগুলোতে বিরোধী হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে৷ রোমে আন্দ্রেয়া নামক এক প্রতিবাদকারী জানান, ব্যারলুস্কোনির ভুলের কথা বলতে গেলে এক বিশাল তালিকা হয়ে যাবে৷ তবে এককথায়, অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্গে ইটালিকে খাপ খাওয়াতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি৷ অপর এক প্রতিবাদকারীর মন্তব্য, আমি ইটালিতে তরুণদের কোন ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি না৷

এদিকে, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ কাদাঁনে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে৷ তবে বিক্ষোভ পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারুক