আহা, সর্বক্ষেত্রে যদি দুই দল এমন হতো! | পাঠক ভাবনা | DW | 11.03.2015
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

আহা, সর্বক্ষেত্রে যদি দুই দল এমন হতো!

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ জয়ী হওয়ার পর হরতাল শিথিল করে বিজয় মিছিল করেছে বিএনপিও৷ এই একটি ইস্যুতে শীর্ষ দুই দল এক৷ ডয়চে ভেলের কাছে ব্যাপারটি দারুণ হলেও, ফেসবুক পাঠকরা একমত কিনা দেখা যাক৷

আমাদের ফেসবুক পাঠক নগর বাউল রুবনের মন্তব্য, ‘‘এটাই চাই৷'' আর তানিয়া আক্তারের কাছে একসাথে বিজয় মিছিল করাটি পছন্দ হয়েছে৷ জুনায়েদ খান রিজু, মো. মিজানের মতো অনেকের কাছেই ভালো লেগেছে৷

এই একটা মাত্র ইস্যুতে সরকার আর বিরোধী দলের প্রশংসা করার মতো মিল দেখা যাওয়ায় খালেক রশিদ রেজা তাঁর মনের কথা জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘আহা, সর্বক্ষেত্রে যদি এমন হতো!''

ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিজয়ে সবার মতো নোমান শরীফও খুবই গর্বিত এবং পাশাপাশি তাঁর রয়েছে একটি প্রশ্নও৷ শরীফ লিখেছেন, ‘‘এটা আসলেই আমাদের অনেক বড় পাওয়া যে এগারো জন খেলোয়াড় আমাদের ১৬ কোটি মানুষকে এক করতে পারছে৷

তাহলে এই রাজনীতিকরা কেন এক করতে পারছে না?''

আশরাফ বাবু মনে করেন, দেশের কল্যাণ, মানুষের কল্যাণই কল্যাণকর৷ সবকিছুতে রাজনীতিবিদরা এক থাকলে তবেই না রাজনীতিবিদ৷

মনিরুজ্জামান ইমনের মতে, ‘‘এটাই ঠিক৷''

স্নিগ্ধ জ্যোসনার মন্তব্য, ‘‘হোয়াট এ কম্বিনেশন!''

সারোয়ার হোসেনের প্রশ্ন অন্য বিষয়গুলোতে এক হতে পারে না কেন?

অন্যদিকে মো. আদিল বলছেন, ‘‘দেশে কি অবরোধ-হরতাল আদৌ ছিল?'' তাঁর মতে হরতাল-অবরোধ অনেক আগেই জনগণ শিথিল করে দিয়েছে৷

আন্দোলনের নামে রাজাকারদের সাথে মানুষ পোড়ানো আবার বাংলাদেশের জয়ে মিছিল-ক্ষমতালোভীদের ছলনা নয় কি? এই মন্তব্য শরীফ ইসলামের৷

ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাঠক ওমর পারভেজ জাতিকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘এখন আমাদের জাতিকে একসাথে করার একমাত্র পথ ক্রিকেট৷ চলুন সবকিছু ভুলে গিয়ে আমরা বাংলাদেশি হই৷''

ডয়চে ভেলের পুরনো বন্ধু এম এ বারিকের মন্তব্য, ‘‘হ্যাঁ, এ রকমই যদি তাঁরা দেশের কলাণে একমত পোষণ করেন, তাহলে আমরা শান্তিতে থাকতে পারি৷''

দেশের বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে পাঠক অভিজিতের এতটাই রাগ যে তিনি তার মত প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘‘জনগণের জানমাল নিয়া যারা প্রতিদিন ফাইজলামি করে তাদেরকে কোনোভাবে সম্মান করতে পারলাম না৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন