1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউ’এর নতুন সভাপতি দেশ হাঙ্গেরিকে নিয়ে নানা প্রশ্ন

২ জানুয়ারি ২০১১

বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওর্বানের জাতীয়তাবাদী-রক্ষণশীল সরকারের সর্বাধুনিক বিধানটি স্বদেশ থেকে শুরু করে ইউরোপীয় সংসদ অবধি সমালোচনা এবং ভ্রুকুঞ্চনের সৃষ্টি করেছে৷

https://p.dw.com/p/zsf4
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওর্বানছবি: AP

হাঙ্গেরির সর্বাধুনিক মিডিয়া আইনটি বস্তুত সংবাদপত্র এবং বেতারের উপর কড়া সরকারি নিয়ন্ত্রণ চাপাচ্ছে৷ নববর্ষের প্রথম দিনে যেমন হাঙ্গেরি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভাপতিত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করে, তেমনই নতুন মিডিয়া আইনটিও কার্যকরি হয়৷ কিন্তু ঐ মিডিয়া আইন আগামীতে একটি সেন্সর প্রথার পথই প্রশস্ত করছে, বলে বিরোধী এবং সমালোচকদের ধারণা৷

ঐ আইন অনুযায়ী মিডিয়ার উপর নজর রাখার একটি সরকারি দপ্তর সৃষ্টি করা হয়েছে, যার কর্মীরা ক্ষমতাসীন দলের সদস্য৷ এই দপ্তরের অভিমতে যদি কোনো রিপোর্ট কি খবর ‘ভ্রান্ত' অথবা ‘রাজনৈতিকভাবে ভারসাম্যবিহীন' হয়, তা'হলে প্রকাশকের ব্যাপক জরিমানা হবার সম্ভাবনা আছে৷ এবং এই অর্থদণ্ড এমনই সমুচ্চ যে, তার ফলে অনেক মিডিয়া সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে৷ এছাড়া এই আইনের বলে সাংবাদিকদের তাদের খবরের উৎস প্রকাশ করতে বাধ্য করা যেতে পারে৷ মিডিয়া কর্তৃপক্ষ বিনা টেন্ডারে টেলিভিশন এবং রেডিও'র ফ্রিকোয়েন্স বিলি করতে পারেন - এ' সব নিয়েই বিরোধীদের চিন্তা৷

Ungarn Pressefreiheit Demonstration
বুদাপেস্টের স্বাধীনতা চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ: সাদা প্ল্যাকার্ডগুলো সংবাদপ্রদানের উপর নিয়ন্ত্রণের প্রতীকছবি: picture-alliance/dpa

জার্মানি, চেক প্রজাতন্ত্র এবং লুক্সেমবুর্গের সরকারবর্গ ইতিমধ্যেই এই আইনের সমালেচনা করেছেন, যেমন করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং অপরাপর গোষ্ঠী৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল হাঙ্গেরিকে ইইউ'এর মান ও প্রথা মেনে চলতে বলেছেন৷ ইউরোপীয় সংসদের সামাজিক গণতন্ত্রী এবং উদারপন্থী সদস্যরা এমনকি প্রয়োজনে হাঙ্গেরির সভাপতিত্ব বাতিল করার প্রস্তাব দিয়েছেন৷

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওর্বান বহির্বিশ্বের সমালোচনাকে ‘‘দুঃখজনক'', ‘‘বাস্তব কিছু নয়'', ‘‘ভুল বোঝাবুঝি'' বলে বাতিল করে দিয়েছেন৷ কিন্তু হাঙ্গেরির নতুন মিডিয়া প্রহরীরা ইতিমধ্যেই একটি বেসরকারি বেতারকেন্দ্রের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে৷ ঐ কেন্দ্র থেকে নাকি গত সেপ্টেম্বর মাসের কোনো এক শনিবার সন্ধ্যায় মার্কিন ব়্যাপ গায়ক আইস-টি'র ‘‘ওয়ার্নিং, ইট'স অন'' গানটি বাজানো হয়েছিল৷ এবং সে গানটি নাকি ‘‘অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিকাশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে''৷ কাজেই সে গান রাত ন'টার আগে বাজানো নীতিবিরুদ্ধ কাজ হয়েছে৷

আইস-টি অবশ্য টুইটারে বলেছে: ‘আমার শুনে খুব ভালো লাগছে৷ সারা দুনিয়া আমার ভয়ে কাঁটা৷ হা-হা-হা৷'

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই