1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউনূস প্রসঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতার আভাস

২২ মার্চ ২০১১

সোমালী জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া নাবিকরা অবশেষে দেশে ফিরেছেন৷ রয়েছে ইউনূস ইস্যুতে সমঝোতার ইঙ্গিত৷ আর ঢাকার ময়লাযুক্ত পানি নিয়ে বিড়ম্বনার খবর৷ এসবই আজকের গণমাধ্যমের মূল শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/10esL
প্রফেসর ইউনূসছবি: public domain

ফিরেছেন মুক্ত নাবিকরা

‘যেন জীবন ফিরে পেলাম', শিরোনাম করেছে দৈনিক ইত্তেফাক৷ সোমালী জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি জাহান মণির নাবিকরা সোমবার চট্টগ্রামে ফিরে আসেন৷ নাবিকরা জানিয়েছেন, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার পর থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত তাদের প্রতিটি মুহূর্ত ছিলো অসহনীয় কষ্টের ও যন্ত্রণার৷ প্রাণ বাঁচাতে তাদের সমুদ্রের পানিও পান করতে হয়েছে৷ ছিল খাদ্য সংকট৷ তবে জলদস্যুরা প্রথম দিকে নাবিকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার না করলেও পরে খানিকটা সহানুভূতি দেখয়েছিল৷ একই বিষয়ে দৈনিক কালেক কণ্ঠের শিরোনাম, ‘দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান, ফিরলেন নাবিকরা'৷ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ফুলের মালা দিয়ে নাবিকদের বরণ করে নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এবং নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান৷ এসময় উৎসুক জনতার ভিড় সামাল দিতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়েছে৷

সম্মানজনক সমাধান

দৈনিক সমকালের শিরোনাম, ‘ইউনূস ইস্যুর সম্মানজনক সমঝোতা হচ্ছে'৷ বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে পত্রিকাটি জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমঝোতার পক্ষে মত দিয়েছেন৷ আলোচনা করে ইউনূস ইস্যুর সুরাহা করতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে প্রধান করে একটি কমিটিও করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে একটি সমঝোতার আশার কথা জানিয়েছে সমকাল৷

পানি দিবস

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর শিরোনাম, ‘এখানে পানি চাওয়ারও অধিকার নেই'৷ জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী বিশুদ্ধ পানি ও পয়নিষ্কাশন মানুষের মৌলিক অধিকার হলেও বাংলাদেশের সংবিধানে এ বিষয়ে নাগরিকদের কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি৷ সোমবার ঢাকায় এক সেমিনারে এই বিষয়টি তুলে ধরেন আলোচকরা৷ একই বিষয়ে দৈনিক প্রথম আলো জানাচ্ছে, ‘ঢাকা ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ, বিশুদ্ধ পানি পেতে দশ বছর'! ঢাকার অনেক এলাকায় ওয়াসার পানিতে এখন দুর্গন্ধ-ময়লা৷ তাই বিকল্প উপায়ে ওয়াসার পাম্প হাউসগুলো থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করে সাধারণ মানুষ৷ এই কাজ বেশ কঠিন হলেও অসহায় ঢাকাবাসীর সামনে আর কোন উপায় নেই৷

গ্রন্থনা: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস