1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউনেস্কো পুরস্কার পেল ‘জাগো’

২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

শিক্ষা খাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সফল ব্যবহার করায় ‘আইসিটি ইন এডুকেশন' বিভাগে ‘ইউনেস্কো কিং হামাদ বিন ইসা আল খলিফা' পুরস্কার পেয়েছে জাগো ফাউন্ডেশন৷ তাদের সঙ্গে যৌথভাবে পুরস্কারটি পেয়েছে জার্মানির এনজিও ‘কিরণ'৷

https://p.dw.com/p/2Y2yP
‘জাগো ফাউন্ডেশন' বাংলাদেশে একটি সুপরিচিত নাম
ছবি: privat

বস্তির শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেশে দারিদ্র্য দূর করার অঙ্গীকার করেছিলেন করভী রাকসান্দ৷ আর এ জন্য বস্তির একটি ঘর ভাড়া করেছিলেন পাঠদান কার্যক্রমের জন্য৷ প্রতিদিন বস্তির ঐ শিশুদের বাবা-মা কে আধা কেজি করে চাল দিতেন যাতে তাঁরা সন্তানদের ঐ স্কুলে পাঠায়৷ সেই থেকে শুরু, করভীর সেই কাজ আজ নেশায় পরিণত হয়েছে৷ প্রতিষ্ঠা করেছেন ১০ টি অনলাইন স্কুল৷ এছাড়া নির্মাণ  করেছেন ৩টি স্কুল৷ এসবের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে হাজারো শিশুর মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে করভীর ‘জাগো ফাউন্ডেশন'৷

মঙ্গলবার থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে করভী বলেন, ‘‘আমরা যেটা করেছি সেটা কোনো মহাকাশে রকেট পাঠানোর মতো কঠিন কাজ নয়, এটা খুবই সাধারণ ব্যবস্থা, কিন্তু যে জিনিসটি কেউ কখনো করার চেষ্টা করেনি৷''

ইউনিসেফ-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা বিনামূল্যে হওয়া সত্ত্বেও বস্তিতে থাকা অর্ধেকেরও বেশি শিশু স্কুলে যায় না৷

করভী রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেন, ‘‘প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে স্কাইপ, ম্যাসেজিং এবং ভিডিও কল-এর মাধ্যমে পাঠদান করা হয়৷ কিন্তু বর্তমানে শিক্ষকরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে লাইভ টিউটোরিয়াল, বিশ্লেষণমূলক তালিকা এবং শিক্ষামূলক ভিডিও দেখায়, যেগুলো শিশুদের তাড়াতাড়ি শিখতে সাহায্য করে৷'' ‘‘এই শিশুরা নিজেদের জন্য ভিডিওতে দেখে, তখন নিজেদের তারকা ভাবতে শুরু করে৷ এছাড়া ঢাকায় যারা পাঠ দান করেন, অনেক সময় তাদের মধ্যে তারকা শিল্পী বা অভিনেত্রীরাও থাকেন৷ তাই তারা খুব ভালোবেসে পড়ালেখাটা শেখে৷''

সুস্বাস্থ্য, প্রাথমিক চিকিৎসা, সেলাই ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানও পরিচালনা করছে ‘জাগো’
ছবি: privat

সবার জন্য গুণগত শিক্ষা জাতিসংঘের ১৭ টা লক্ষ্যের অন্যতম, যা তারা ২০৩০ সালের মধ্যে পূরণ করতে চায়৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে যুদ্ধ, দারিদ্র্য এবং স্থানান্তরের কারণে লাখো শিশু ও বয়স্ক মানুষ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দফতর থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভী রাকসান্দ৷

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আইসিটি সুবিধা ব্যবহার করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিয়েছে জাগো ফাউন্ডেশন৷ তার এই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি৷

একুশে ফেব্রুয়ারির মতো ঐতিহাসিক দিনে এই পুরস্কার দেয়ার জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান করভী৷ অনুষ্ঠানে অনলাইন স্কুলের শিশুদের সঙ্গে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন উপস্থিত অতিথিরা৷ পুরস্কার হিসেবে ২৫ হাজার মার্কিন ডলার ও একটি করে সনদপত্র দেয়া হয়েছে৷

অন্যদিকে, জার্মানির বেসরকারি সংস্থা কিরণ শরণার্থীদের স্মার্টফোনের মাধ্যমে হিসাব বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং অন্যান্য কোর্স করায়৷ জার্মানি, ফ্রান্স, তুরস্ক ও জর্ডানের ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ হাজার শিক্ষার্থী এই শিক্ষাদানের সঙ্গে জড়িত৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য