1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপকে সংঘবদ্ধ হতে হবে, প্রথম ভাষণে আর্জি অ্যাস্টনের

৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০

সোলানার যোগ্য উত্তরসূরিকে পেয়ে গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ মিউনিখের নিরাপত্তা সম্মেলনে তাঁর ভাষণে সেকথা বুঝিয়ে দিলেন ইইউ-র নতুন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান শ্রীমতি অ্যাস্টন৷ বললেন, ইইউকে একজোট হতেই হবে৷

https://p.dw.com/p/LujY
বেশ ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিলেন শ্রীমতি ক্যাথারিন অ্যাস্টন৷ছবি: AP

শুরু হয়েছিল নয়টি দেশকে নিয়ে৷ এখন তার সদস্য সংখ্যা সাতাশ৷ কিন্তু কলেবর বাড়লেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে যে বহু বিচ্ছিন্নতা রয়ে গেছে, এই অস্বস্তিকর প্রসঙ্গটা সব মহলেরই জানা৷ জানলেও তা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে কাউকে তেমন শোনা যায় না৷ শুনিয়ে দিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথারিন অ্যাস্টন৷ বললেন, আগে নিজেদের দুর্বলতাগুলিকে কাটিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে হয়ে উঠতে হবে নিজের দায়িত্বে অনেক বেশি সজাগ৷ ঘরের সামনের সমস্যা তো বটেই, বিশ্বের দূরতম প্রান্তে যখন যেখানে কোনরকম সমস্যা দেখা দেবে, তার সমাধানে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঝাঁপ দিতে হবে ইইউকে৷

হাভিয়ের সোলানার পর নতুন বছরে ইউ-র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদ পররাষ্ট্র যখন ক্যাথারিন অ্যাস্টনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, তখন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল আন্তর্জাতিক কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব শ্রীমতি অ্যাস্টন তাঁর জাত চিনিয়ে দিতে বেশি সময় নেবেন না৷ সঠিক জায়গা হিসেবেই তিনি বেছে নিয়েছেন মিউনিখ সম্মেলনের মঞ্চ৷ যেখান থেকে তাঁর বার্তা অতি দ্রুত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বত্র প্রচার যেমন পেয়েছে, তেমনি বুঝিয়ে দিয়েছে অদূর ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে ইউরোপের মুখ্য অঞ্চলের পররাষ্ট্রনীতি৷

Sicherheitskonferenz in München
মিউনিখে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানুশেহের মোত্তাকির সঙ্গে সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল বিল্ডট (বাঁদিকে) একান্ত আলাপচারিতায়৷ছবি: AP

আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ইউরোপ একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় বটে তবে এক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার সুযোগ রয়েছে৷ আর সেটা বাস্তবায়িত করতে হলে, ইউরোপের এই মুহূর্তে যেরকম শক্তি তাতে তাদের আরও সংঘবদ্ধ হওয়াটা সর্বাগ্রে প্রয়োজন৷ এই সত্যটাকে খোলাখুলিভাবে পেশ করে অ্যাস্টন বলেছেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক , সামরিক এবং সেইসঙ্গে পরিষেবাগত দুর্যোগ মোকাবিলার সবগুলি দাওয়াইকে ব্যবহার করতে হবে একটাই বোতল থেকে৷ অর্থাৎ অভিন্ন ইউরোপের ভাবনাকে অনেকটা সংঘবদ্ধ করার সময় এসে গেছে৷ তাঁর মতে, ইউরোপের এখন একটিই রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং নীতি হওয়া আগে দরকার৷

প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টোনি ব্লেয়ারের মত হেভিওয়েট প্রার্থীকে খারিজ করে ইইউ-র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ দিয়েছেন অ্যাস্টন অতি সদ্য৷ তাঁর বিষয়ে তেমন কোন প্রচার আগে থেকে ছিল না৷ ফলে পররাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পর প্রথম ভাষণেই তাঁর জোরালো মতামত ইইউ-র মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে৷ এই বক্তব্যের সমর্থনে কতটা এগিয়ে আসে ইউরোপ সেটাই এখন দেখার বিষয়৷ অবশ্যই লক্ষ্য রাখার বিষয়ও৷

প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা - রিয়াজুল ইসলাম