1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউ-এর ‘‘অস্তিত্বের সংকট''

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লোদ ইয়ুঙ্কার স্ট্রাসবুর্গে তাঁর স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণে সংকটের কথা বললেও, সমাধানের বিশেষ আভাস দিতে পারেননি৷ একদিকে ব্রেক্সিট, অন্যদিকে উদ্বাস্তু সংকটের টানাপোড়েনে ইইউ যেন দিশাহারা৷

https://p.dw.com/p/1K2xf
Ungarn Grenze Türkei Besuch Orban Borisow
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Donev

জঁ-ক্লোদ ইয়ুঙ্কার তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ও বহু প্রতীক্ষিত ভাষণটি দেবার ঠিক আগেই তাঁরই দেশের, অর্থাৎ লাক্সেমবুর্গের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেসবর্ন হাঙ্গেরিকে ইইউ থেকে বাদ দেবার প্রস্তাব দিলেন কেন, সেটা বোঝা মুশকিল৷ কেননা ইয়ুঙ্কার তাঁর ভাষণে এই আশ্বাস দিতে সচেষ্ট ছিলেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভেঙে পড়বে না৷

ব্রেক্সিট ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে কোনো ঝুঁকি নয়, এ কথা বলা সত্ত্বেও ইয়ুঙ্কার মনে করিয়ে দেন যে, ২৩শে জুনের ব্রেক্সিট গণভোট সতর্ক করে দিচ্ছে যে, জাতীয়তাবাদ ইউরোপীয় ঐক্যের বিপদ ঘটাতে পারে৷ ‘‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে ‘ইউনিয়নের' ঘাটতি আছে৷ বড় বেশি ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়'', মন্তব্য করেন ইয়ুঙ্কার৷

তিনি ইইউ নেতৃবর্গের প্রতি উদ্বাস্তু সংকটে আরো বেশি সংহতি প্রদর্শনের আহ্বান জানান, এছাড়া একটি ইউরোপীয় সীমান্ত ও উপকূলরক্ষী বাহিনী গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরাণ্বিত করতে বলেন৷ লক্ষ্য হলো, এমন একটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন সৃষ্টি, যা ‘‘ইউরোপীয় জীবনধারাকে সুরক্ষিত ও সংরক্ষিত করতে পারবে৷''

Europäisches Parlament - Jean-Claude Juncker, Rede zur Lange der Union
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লোদ ইয়ুঙ্কারছবি: picture-alliance/dpa/P. Seeger

বুলগেরিয়া সীমান্ত রক্ষায় আরো বেশি আর্থিক সাহায্য চায়

ইয়ুঙ্কারের ভাষণের পরদিনই বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসভ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ‘অবিলম্বে'' ১৬ কোটি ইউরো অর্থসাহায্য দাবি করেছেন, যা ইইউ-এর বহির্সীমান্ত সুরক্ষিত করার কাজে লাগবে৷ তুর্কি-বুলগেরীয় সীমান্ত পরিদর্শন করতে গিয়ে বরিসভ বলেন, ‘‘আমি শুধু সংহতির বিবৃতি ছাড়াও আরো কিছু দেখতে চাই৷'' তিনি জানান যে, আগামী শুক্রবার ব্রাতিস্লাভায় ইইউ-এর শীর্ষবৈঠকে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করবেন৷ এছাড়া তিনি গ্রিস ও ইটালির মতো অপরাপর ‘ফ্রন্টলাইন' দেশগুলির প্রতি পশ্চিম ইউরোপের ধনী দেশগুলির প্রতি উদাসীন না থাকার আহ্বান জানানোর ডাক দেন৷

বরিসভের সঙ্গে সীমান্ত পরিদর্শনে যোগ দিয়েছিলেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওর্বান, যাঁর বিরুদ্ধে ছিল আসেলবর্নের বিষোদ্গার৷ উভয় নেতা সীমান্তের লেসোভো গ্রামের কাছে যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু হচ্ছে, তা পরিদর্শন করেন৷ এখান থেকে যে কাঁটাতারের বেড়া শুরু হবে, তা প্রায় ২৬০ কিলোমিটার পথ জুড়ে তুরস্কের সীমান্ত বরাবর চলে যাবে৷ ওদিকে ইয়ুঙ্কার মঙ্গলবারেই ঘোষণা করেছেন যে, ইইউ বুলগেরিয়া-তুরস্ক সীমান্তে আরো ২০০ রক্ষী পাঠাবে৷

এর আগের সপ্তাহে ঐ ভিক্টর ওর্বান-কেই দেখা যায় পোল্যান্ডের দক্ষিণপন্থি নেতা ইয়ারোসুয়াভ কাচিনস্কি-র সঙ্গে কার্পেথিয়ান পর্বতমালার একটি রিসর্টে৷ এখানে ওর্বান বলেন, ‘‘একটি নতুন সত্তা, ইউরোপীয় সত্তা জন্ম নিচ্ছে'', যাতে ব্রিটিশদের স্থান নেই৷ ইয়ুঙ্কার যে এই প্রবণতা সম্পর্কে পুরোমাত্রায় সচেতন,তার প্রমাণ তাঁর স্ট্রাসবুর্গের ভাষণ,যেখানে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকতর সংহতি বা একীকরণের কথা উল্লেখ পর্যন্ত করেননি৷

এসি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান