1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপীয় ফুটবলের বাজার সরগরম

৩০ এপ্রিল ২০১০

ফুলহ্যামের ইউরোপা লীগের ফাইনালে পৌঁছনোটা যেমন একটা রূপকথা, তেমনই চ্যাম্পিয়নস লীগে নাটকের চূড়ান্ত হল বায়ার্ন কোচ লুই ফ্যান গাল’এর সঙ্গে তাঁরই শিষ্য, মিলানের কোচ হোসে মুরিনহো’র সেয়ানে সেয়ানে মোলাকাত৷

https://p.dw.com/p/NAUK
মুরিনহো-ফ্যান গালছবি: picture-alliance/dpa

ক্র্যাভেন কটেজে ফুলহ্যামের বিরুদ্ধে খেলতে যাওয়াটাই একটা ভীতিকর ব্যাপার, তার উপর আবার হামবুর্গ ফার্স্ট লেগে শুধু ০-০ নিয়ে খেলতে গেছে৷ তবুও, হামবুর্গের ক্রোয়েশীয় ফরোয়ার্ড ম্লাদেন পেত্রিচ ঠিক ২২ মিনিটের মাথায় ৩০ মিটার দূরত্ব থেকে একটি বিষাক্ত ফ্রি-কিক করে পরিস্থিতি প্রায় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন৷ কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ৬৯ মিনিটের মাথায় ফুলহ্যামের সাইমন ডেভিস, এবং ৭৬ মিনিটের মাথায় জোল্টান গেরা ফুলহ্যামের হয়ে দু'টি গোল করে হামবুর্গকে বিদায় দিল৷ অর্থাৎ ১২ই মে ঐ হামবুর্গেরই মাঠে ইউরোপা লীগের ফাইনালে খেলবে ফুলহ্যাম - এমন একটি দল, যারা ঠিক ১৩ বছর আগে ইংলিশ ফুটবলের চতুর্থ পর্যায়ে ছিল৷

ওদিকে দিয়েগো ফোর্লান'এর এক্সট্রা-টাইম গোলের ফলে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ লিভারপুল'কে পাশ কাটিয়ে ১২ই মে'র ফাইনালে নিজেদের জায়গা করে নিল৷ বৃহস্পতিবারের খেলার পর ২-২ এ্যাগ্রেগেট হলেও এ্যাটলেটিকো এ্যাওয়ে গোলের কল্যাণে এগিয়ে গেল৷

কিন্তু ১২ই মে হামবুর্গের পরে আসছে ২২শে মে, মাদ্রিদ: রিয়াল মাদ্রিদের বার্নাবেউ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনাল, বায়ার্ন মিউনিখ বনাম ইন্টার মিলান৷ অথবা আরেকভাবে বলতে গেলে, মুরিনহো বনাম ফ্যান গাল৷ বায়ার্নের কোচ লুই ফ্যান গাল - জাতিতে ওলন্দাজ - যখন নব্বই'এর দশকের শেষে বার্সেলোনার কোচ ছিলেন, তখন তাঁর সহকারী ছিলেন এই হোসে মুরিনহো৷ দু'জনে সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রের মানুষ৷ এবং আজ দু'জনেই ‘ট্রিপল' জেতার স্বপ্ন দেখছেন, অর্থাৎ জাতীয় লীগ এবং কাপ, এবং সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লীগ৷

ওদিকে মিউনিখে বায়ার্নের হর্তাকর্তারা মেসি-ষুক্ত বার্সা'র পরিবর্তে মিলান'কে বৈরী হিসেবে পেয়ে নিশ্চয় খুশী৷ কিন্তু ফ্যান গাল জানেন যে, মুরিনহো তাঁরই ছাত্র এবং ভালো ছাত্র৷ অপরদিকে বায়ার্ন এবং মিলানের খেলার স্টাইল এক৷ দু'টি দলেরই প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে ইন্টারের এস্তেবান ক্যাম্বিয়াসো কিংবা বায়ার্নের বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার'এর মতো পরিশ্রমী, নাছোড়বান্দা মিডফিল্ডার৷ মজবুত, গায়ের জোর দিয়ে ট্যাকল করা ডিফেন্ডার দু'দলেই আছে: যেমন ইন্টারের লুসিও কিংবা বায়ার্নের মার্টিন ডেমিকেলিস৷

ফ্যান গাল হয়তো ভাবছেন: ইন্টারের বিরুদ্ধে শেষ খেলায় বার্সা ৭৬ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণে ছিল, কিন্তু ইন্টারের গোলের দিকে চারটির বেশী শট নিতে পারেনি - ইটালির গাজেট্টা দেল্লো স্পোর্ট যার নাম দিয়েছে ‘‘ওয়াল অফ গ্লোরি''৷ সেই ‘গৌরবের প্রাকার'-কেই ভেদ করতে হবে ফ্যান গালের বায়ার্নদের৷

প্রতিবেদক : অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা : আরাফাতুল ইসলাম