1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণ

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ব্রেক্সিট-পরবর্তী ইউরোপকে আরও শক্তিশালী, কার্যকর ও প্রতিযোগিতার বাজারে আকর্ষণীয় করে তুলতে কিছু প্রস্তাব রাখলেন জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার৷ ফ্রান্স ও জার্মানিও সংস্কারের রূপরেখা প্রস্তুত করতে ব্যস্ত৷

https://p.dw.com/p/2jwBU
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J.-F. Badias

গোটা বিশ্বে একের পর এক সংকট সত্ত্বেও হতাশার বদলে এমন পরিস্থিতিকে আমূল সংস্কারের অভিনব সুযোগ হিসেবে দেখছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টে তাঁর তৃতীয় ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন' ভাষণে তিনি ভবিষ্যতের ইউরোপের এক রূপরেখা তুলে ধরলেন৷ ব্রেক্সিট সম্পর্কে দুঃখপ্রকাশ করেও তিনি পরোক্ষভাবে জানিয়ে দিলেন, ব্রিটেনের বিদায়ের ফলে সংস্কারের গতি বরং আরও জোরদার করা সম্ভব৷

জনমানসে ইউরোপের ভাবমূর্তির ক্রমাগত উন্নতির ফলে ‘ইউরোপের পালে আবার হাওয়া লাগছে' বলে মন্তব্য করেন ইয়ুংকার৷ তবে এমন সুবর্ণ সুযোগ অনির্দিষ্টকালের জন্য নাও থাকতে পারে৷ তাই অবিলম্বে সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া উচিত৷ তবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সেই কাজ যে কঠিন হবে, সে বিষয়ে বিশেষ সংশয় নেই৷

ইয়ুংকার মনে করেন, বর্তমান অনেক সমস্যার সমাধান করতে ইউরোপীয় সমন্বয় প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত ও সার্বিক করে তুলতে হবে৷ ইইউ দেশগুলির মধ্যে সীমানা আরও খুলে দিয়ে বহির্সীমানায় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে৷ ইইউ-র আর্থিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির স্বার্থে সব সদস্য দেশেই অভিন্ন মুদ্রা ইউরো চালু করতে হবে৷ বাজেট, কর ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সামাজিক সুরক্ষা – প্রায় সব ক্ষেত্রেই ইইউ-র মধ্যে আরও সমন্বয়ের আহ্বান জানিয়েছেন ইয়ুংকার৷ একমাত্র এভাবেই ইইউ নাগরিকদের জন্য সমৃদ্ধি আনা যাবে এবং গোটা বিশ্বের কাছে ইউরোপ বিনিয়োগের জন্য আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে৷

২০১৯ সালের পর ইউরোপের কাঠামো বদলাতে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলির আমূল সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট৷ সদস্য দেশগুলির পরিষদ ও কমিশনের দুই শীর্ষ ব্যক্তির বদলে একটি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি৷

জঁ ক্লোদ ইয়ুংকারের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে৷ ২০১৯ সালে ব্রেক্সিট পর্ব শেষ হবার পর সংস্কারের প্রশ্নে প্রায় সব মহলই একমত৷

ইইউ-র চালিকা শক্তি হিসেবে ফ্রান্স ও জার্মানির বর্তমান নেতৃত্বও সেই সংস্কারের রূপরেখা সৃষ্টি করতে ব্যস্ত৷ ২৬শে সেপ্টেম্বর জার্মানির সাধারণ নির্বাচনের দুই দিন পরেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ তাঁর স্বপ্নের রূপরেখা তুলে ধরবেন৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল আবার সরকার গঠন করতে পারলে জার্মানির প্রস্তাবগুলিও পেশ করা হবে৷ তবে বর্তমান জার্মান অর্থমন্ত্রী ভল্ফগাং শয়েবলে বলেছেন, ইয়ুংকারের ভাষণ জার্মানির স্বপ্নের সঙ্গে অনেকটাই খাপ খেয়ে যায়৷ তবে ইউরো এলাকায় যোগদান করার পূর্বশর্ত শিথিল না করার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি৷ তাঁর মতে, বিশেষ করে গ্রিসের সংকট থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য