1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোভিজন সং কন্টেস্টে জার্মানির লেনা

২৯ মে ২০১০

৫৫ বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই গানের প্রতিযোগিতা৷ এর আগে জার্মানি একবারই জিতেছে, ১৯৮২ সালে, নিকোল’এর ‘‘আইন বিশসেন ফ্রিডেন’’ গানটি দিয়ে৷ আর এবার আছে লেনা মায়ার-লান্ডরুট’এর ‘‘স্যাটেলাইট’’৷

https://p.dw.com/p/Ncm0
লেনা মায়ার-লান্ডরুটছবি: EBU

হ্যানোভারের মেয়ে, ১৯ বছর বয়স৷ সুন্দরী তো বটেই, সেই সঙ্গে একটা নির্দোষ, টাটকা ভাব আছে৷ আবার ব্যাঁকা মন্তব্য করতেও পিছপা হয় না এই মেয়ে৷ এক হিসেবে গোটা জার্মানি এই লেনার প্রেমে পড়ে গেছে বলা চলে৷ গানের গলা যে খুব তৈরী, এমন নয়৷ গানের চর্চাও অনুরূপ৷ কিন্তু ইউরোভিজন সং কন্টেস্ট তো শুধু আর গানের ওস্তাদি দিয়ে নয়৷ এর অনেকটাই হল শো - এবং মানুষের ভালো লাগা৷ ইউরোপের ২৪টি দেশের - অর্থাৎ নিজের দেশটি বাদ দিয়ে অন্য সব দেশের মানুষদের ভালো লাগা চাই৷ তবেই জেতার আশা৷ - লেনা বোধহয় শো'র উপরেও খুব বেশী জোর দিচ্ছে না৷ তার তুরুপ হল মানুষের ভালো লাগা৷

শনিবার সন্ধ্যায় অসলোর কাছে টেলেনর এ্যারেনায় ১৬,০০০ দর্শকের সামনে আবির্ভূত হবে ২৫টি দেশের একক শিল্পী অথবা গোষ্ঠী৷ বুকমেকাররা বলছে আজারবাইজানের জেতার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী৷ তার পরেই জার্মানি, আর্মেনিয়া এবং ইসরায়েল৷ - গুগল কিন্তু স্রেফ ক্লিক গুণে লেনা'কে রেখেছে প্রথম স্থানে৷ আবার সুইডেনের ‘সিন্ট' প্রতিষ্ঠান ইউরোপের ৪০টি দেশে সমীক্ষা করে দেখেছে লেনাই সবচেয়ে বেশী ভোট পেয়েছে৷

লেনা যে ভিনি, ভিডি, ভিসি'র কায়দায় জার্মানি তথা ইউরোপের মানুষদের মন জয় করে নিল, তার অনেকটাই কিন্তু তার ব্যক্তিত্বের জন্য৷ বিশেষ করে ঝানু সাংবাদিকরাও তাকে প্রশ্ন করতে গিয়ে খোঁচা খেয়েছেন৷ কোন এক টিভি প্রোগ্রামে লেনাকে নাকি বস্ত্রহীন অবস্থায় দেখা গেছে, এ'বিষয়ে সে চিন্তিত কিনা, এ-প্রশ্নের জবাবে লেনা বলেছে: ‘‘তা'তে আমি চিন্তিত হতে যাবো কেন? আমাদের পরিবারে চিরকাল বলা হত: আজকের কাগজই দেখবে কালকে মাছ মুড়ে বিক্রী হচ্ছে৷'' - নরওয়ের তরুণ বেহালাবাদক আলেক্সান্ডার রাইবাক গতবছর ইউএসসি জেতে৷ সে নাকি এবার লেনার প্রেমে পড়েছে, এ-বিষয়ে লেনাকে অসলো'তে প্রশ্ন করা হলে লেনা ঠাট্টা করে বলে: ‘‘আমাদের তো তিন বছর ধরে সম্পর্ক চলেছে৷ এর পরেই আমরা বিয়ে করব৷''

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক