1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট ২০১১’

১৯ মে ২০১১

১৪ মে জার্মানির ড্যুসেলডর্ফ শহরে বিপুল জাঁকজমকের সঙ্গে হয়ে গেল ৫৬ তম ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট ২০১১’৷ এ হল ইউরোপের অত্যন্ত জনপ্রিয় টেলিভিশন সংগীত প্রতিযোগিতা৷ এ বছর এই প্রথম আজারবাইজান অর্জন করলো জয়ের শিরোপা৷

https://p.dw.com/p/11JRK
আজারবাইজান এর হয়ে ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট' এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সংগীত শিল্পী জুটি এল ও নিকি৷ছবি: dapd

আজারবাইজান এর হয়ে এবার ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট' এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সংগীত শিল্পী জুটি এল ও নিকি৷ ‘রানিং স্কেয়ার্ড' গানটি গেয়ে তাঁরা ছিনিয়ে নিয়েছেন ইউরোপের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ টেলিভিশন সংগীত প্রতিযোগিতার জয়ের মুকুট৷

প্রতি বছর আগের বছরের বিজয়ী দেশে অনুষ্ঠিত হয় ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট'৷ ২০১০ সালের বিজয়ী দেশ জার্মানি৷ জার্মানির হয়ে এই অনুষ্ঠানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৯ বছর বয়স্কা লেনা৷ যিনি ‘স্যাটেলাইট' গান গেয়ে গত বছর অসলো তে অর্জন করেছিলেন জয়ের মুকুট৷ ২৮ বছর পর জার্মানি দ্বিতীয় বার পেয়েছিল এই জয়ের শিরোপা৷

Deutschland Musik ESC 2011 Eurovision Song Contest Finale Aserbaidschan Ell/Nikki gewonnen
ইউরোভিশন সং কনটেস্ট' শুরু হয় ১৯৫৬ সালেছবি: dapd

এ বছর আবারও জার্মানির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন লেনা৷ তাঁর গান ‘টেকেন বাই এ স্ট্রেঞ্জার' অংশগ্রহণকারী ২৫ টি দেশের মধ্যে দশম স্থান অধিকার করে৷

ই বি উ বা ‘ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন' এর উদ্যোগে ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট' শুরু হয় ১৯৫৬ সালে৷ প্রাথমিকভাবে ‘ইউরোভিশন' ছিল একটি বেতার বা রেডিও অনুষ্ঠান৷ ষাটের দশকের শুরু থেকে প্রতি বছর টেলিভিশনে সম্প্রচার হয়ে আসছে এই আড়ম্বরপুর্ণ ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান৷ এই সংগীত প্রতিযোগিতায় ইউরোপের প্রতিটি দেশের একজন সংগীত শিল্পী বা একটি সংগীত গোষ্ঠী প্রতিনিধিত্ব করতে পারে৷ ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট' এ বিজয়ী নির্বাচিত হন টেলিফোনের মাধ্যমে গোটা ইউরোপব্যাপী টেলিভিশন দর্শকদের ভোটে৷ তবে নিজের দেশের প্রতিনিধিকে ভোট দেয়া যায় না৷ ১৯৮২ সালে লেনার মতই এক তরুণী গায়িকা নিকোল ‘আইন বিসশেন ফ্রিডেন' বা ‘একটুখানি শান্তি' গানটি গেয়ে প্রথমবার জার্মানির জন্য পেয়েছিলেন জয়ের মুকুট৷

Deutschland Musik ESC 2011 Eurovision Song Contest Finale Aserbaidschan Ell/Nikki gewonnen
‘রানিং স্কেয়ার্ড' গানটি গেয়ে তাঁরা ছিনিয়ে নিয়েছেন ইউরোপের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ টেলিভিশন সংগীত প্রতিযোগিতার জয়ের মুকুটছবি: picture alliance/dpa

ইউরোভিশনের মুকুট জয় করেই আন্তর্জাতিক খ্যাতির জগতে প্রবেশ করেছিল সুইডেনের সংগীত গোষ্ঠী ‘আবা'৷ এবার সুইডেনের প্রতিযোগী অধিকার করে তৃতীয় স্থান৷ প্রায় ১৩ বছর বিরতির পর ইটালি আবার অংশ নেয় ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট' এ৷ রাফায়েল গুয়ালাৎসির গান ‘ম্যাডনেস অফ লাভ' অধিকার করে দ্বিতীয় স্থান৷ হয়ত বা বিজয়ের মুকুট তাঁরই প্রাপ্য ছিল?

প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক