1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইটালি, গাড়িপাগল, গাড়ি, ওয়ার্কশপ,

মিশায়েল কাডেরাইট/এসি১২ জুলাই ২০১৪

মোরেনো ফিলান্ডি একটি গাড়ির ওয়ার্কশপের মালিক৷ কিন্তু অবসর সময়ে তৈরি করেন এমন সব গাড়ি যেগুলো দেখলে জেমস বন্ড কিংবা ব্যাটম্যানের জিভেও জল আসবে৷

https://p.dw.com/p/1Cawo
মোরেনো ফিলান্ডির তৈরি গাড়িছবি: DW

মোরেনো ফিলান্ডির বাস ইটালির বোলোনিয়া শহরের উত্তরে অ্যাপেনাইন পর্বতাঞ্চলের একটি ছোট শহরে৷ পাহাড়ি এলাকার সার্পেন্টাইন রাস্তা, সেই রাস্তায় চলেছে মোরেনো ফিলান্ডির তৈরি এক অদ্ভুত গাড়ি৷ মোরেনো নিজে গাড়ির কোচের ফিটার ও গাড়ি-পাগল৷ তাঁর চিরকালের স্বপ্ন একটি সুপার স্পোর্টস কার-এর, অথচ কেনার সম্বল নেই৷ তবে গাড়িটা ঠিক কেমন হবে, সেটা তিনি ভালোভাবে জানেন৷ তাই গত চার বছর ধরে কাজ করছেন তাঁর ‘ফিলান্ডি এভার এস' গাড়িটি নিয়ে৷

ফিলান্ডির বক্তব্য হলো: ‘‘কীভাবে জানি না, আমি আমার নিজের গাড়ি তৈরি করতে শুরু করি৷ আমার নিজের যা ভালো লাগে, ঠিক সেইভাবে একটা গাড়ি তৈরি করার মজাই আলাদা, দারুণ একটা স্বাধীনতার অনুভূতি৷''

ট্রেডমার্ক: সিংহের মাথা

ফন্টানেলিচে মিউনিসিপালিটিতে মোরেনোর গাড়ি মেরামতের গ্যারেজ৷ ‘এভার এস'-এর বডির প্রতিটি খুঁটিনাটি তিনি নিজে ডিজাইন করেছেন এবং অ্যালুমিনিয়ামের পাত কেটে তৈরি করেছেন৷ তাঁর ট্রেডমার্ক হলো: সিংহের মাথা৷ তাঁর এই মডেলটিতে তথাকথিত গাল-উয়িং দরজা আছে, যেমন পঞ্চাশের দশকের মার্সিডিজ ৩৩০ এসএল স্পোর্ট মডেলে থাকতো৷ বাকি ডিজাইনটা পুরোপুরি মোরেনোর৷ মোরেনো বলেন, ‘‘এটা আমার নিজস্ব স্টাইল, তা কারো ভালো লাগুক আর না লাগুক৷ আমার নিজের ভালো লাগলেই হলো৷ আমার কাছে এটা একটা ভাষ্কর্য এবং এটা সম্পূর্ণ এককই থাকবে৷ আমিতো আর গাড়ি নির্মাতা নই, আমি শুধু এই সব ভাষ্কর্য গড়ি৷''

স্বপ্নের গাড়ি...

তাঁর ওয়ার্কশপে মোরেনো সাধারণত অ্যাক্সিডেন্ট হওয়া গাড়ি সারিয়ে থাকেন৷ অবসর সময়ে তাঁর কাজ হলো নিজের ‘স্বপ্নের গাড়ি' তৈরি করা৷ ১৯৯০ সালের একটি লালরঙা মার্সিডিজ ৫০০ এসএল ছিল মোরেনোর এভার এস মডেলের ভিত্তি৷ তবে গাড়ির বাইরেটা তিনি পুরোপুরি বদলে দিয়েছেন৷

২০০৮ সালেই তিনি ‘উরাগানো' গাড়িটি তৈরি করেছিলেন, চার বছর ধরে কাজ করে৷ খরচ পড়েছিল মাত্র বারো হাজার ইউরো, যেখানে ফেরারি কিংবা পর্শের কোনো সুপার স্পোর্টস কার কিনতে কয়েক লাখ ইউরো ব্যয় করতে হয়৷ উরাগানোর টপ স্পিড হল ঘণ্টায় ৩৪০ কিলোমিটার৷ ৬০০ অশ্বশক্তির পাওয়ার কিন্তু আসে জাঙ্কইয়ার্ড থেকে তুলে আনা একটি আউডি ভি-এইট ইঞ্জিন থেকে, মোরেনো যাতে একটি ট্রাকের টার্বোচার্জার যোগ করেছেন৷ বাকি সবটাই তাঁর নিজের সৃষ্টি৷

বিক্রির নয়

বহু মোটরগাড়ির প্রদর্শনীতে মোরেনোর উরাগানো প্রদর্শিত হয়েছে৷ যেমন ইটালির ফ্লোরেন্স শহরে ২০১০ সালের একটি প্রোটোটাইপ এক্সিবিশনে৷ সেখানে তাঁর এই আজব গাড়ি কিনতে চেয়েছিলেন অনেকে৷ অথচ মোরেনো বলেন: ‘‘আমি কোনোদিন আমার গাড়ি বিক্রি করার কথা ভাবিনি৷ এই গাড়িগুলো হলো আমার প্যাশন, আমি এগুলোর পিছনে অনেক সময় দিয়েছি৷ সেজন্যই আমি এগুলোকে বিদায় দিতে পারব না৷''

মোরেনো চান তাঁর এভার এস মডেল গাড়িটি লোকের চোখে পড়ুক৷ তাঁর সবচেয়ে মজা লাগে, যখন মানুষজন জিজ্ঞাসা করে, এটা কোন মডেলের গাড়ি! ওদিকে মোরেনো ফিলান্ডি এখনও তাঁর গাড়ি নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন৷ তিনি ড্রয়িং বোর্ডের কাজ জানেন না বলে স্কেচ অথবা কম্পিউটারের বদলে শুধুমাত্র চোখের দেখা দিয়ে গাড়ির ডিজাইন তৈরি করেন৷ সবটাই থাকে তাঁর মাথায়৷

আর বছর খানেকের মধ্যেই এভার এস শেষ হবে৷ অ্যালুমিনিয়ামের পাতটাকে পালিশ করে গাড়িটাকে সিলভার লুক দিতে হবে৷ তারপর আবার ফন্টানেলিচের সবার চোখ যাবে মোরেনো ফিলান্ডির গাড়িটার দিকে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য