1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্টারনেটে কবিগুরু-র দুর্বল উপস্থিতি

৮ মে ২০১০

হঠাৎই সহকর্মী বলে উঠলেন, ইন্টারনেটে কবিগুরুকে খুঁজে দেখতে৷ কারণটা আর কিছু নয়, অনলাইন জগতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জায়গা কতটা একবার যাচাই করা৷ আগেই বলে নিচ্ছি, এই সার্চ বা খুঁজে দেখাটা খুব সুখকর হয়নি৷ কেন? পড়ে দেখুন৷

https://p.dw.com/p/NJ99
ছবি: tagoreweb.in

ইন্টারনেট সার্চ জায়ান্ট গুগল এর কল্যাণে কবিগুরুর নিজের বলতে যে ওয়েবসাইটির খোঁজ পেলাম, সেটির নাম টাগোরওয়েব ডট ইন৷ এই সাইটটি তৈরি হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি, গত বছরের নভেম্বরে৷ এখানে আলাদা আলাদাভাবে কবিগুরুর লেখা বিভিন্ন গল্প, কবিতা, গান, উপন্যাস, প্রবন্ধ রাখা আছে বাংলা ভাষায়, এবং কিছুক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায়৷

কবিগুরুকে নিয়ে একান্ত ওয়েবসাইট খুব বেশি না থাকলেও তার কর্ম শোভা পাচ্ছে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটে৷ গুগল এর ভাষ্য অনুযায়ী, ইংরেজিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শব্দটি আছে কমপক্ষে ৮ লাখ ৫০ হাজার পাতায়৷ আর গুগল বাংলা জানাচ্ছে, বাংলা ভাষায় রবীন্দ্রনাথ উপস্থিত ১ লাখ ৭৮ হাজার পাতায়৷ সংখ্যা বিচারে এই সংখ্যা খুব বড় ভাবার কোন কারণ নেই৷ বরং দুঃখ করেই বলতে হচ্ছে, বাঙালির গর্ব এই কবির ইন্টারনেট উপস্থিতি খুব একটা বেশি নয়৷

তবে বাংলা এবং ইংরেজিসহ আরো কয়েকটি ভাষার উইকিপিডিয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে৷ ১৯৩০ সালে তোলা আইনস্টাইনের সঙ্গে কবিগুরুর ছবিটিও দেখা যাবে বাংলা উইকিতে৷

এবার চলুন নজর দেই হালের ইন্টারনেট ক্রেজ মানে ফেসবুকের দিকে৷ কবিগুরুর নাম লিখে খোঁজ নিতেই বেরিয়ে এলো ২২৯টি পাতা৷ কিন্তু এসব পাতায় ভক্তর সংখ্যা বেশ কম৷ তিন হাজারের বেশি ভক্ত নেই কোন পাতাতেই৷ তার ওপর কোন কোনটিতে ভক্ত তো নেই, তথ্যও তেমন একটা নেই৷ তার চেয়েও ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে, বাংলা ভাষায় ফেসবুকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে পাতা আছে তিনটি৷ আর সেগুলোতে ভক্তের সংখ্যা সব মিলিয়ে ২!

নিজেরই লজ্জা হচ্ছে৷ যিনি এশিয়ার প্রথম সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী আর যাঁর ভাষায় কথা বলে বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ, ফেসবুকে তার অবস্থান এতো নগণ্য! সত্যিই, লজ্জা৷

শেষ করছি রবীন্দ্রসংগীত ডট অর্গ নামক একটি ওয়েবসাইট দিয়ে৷ সেখানে ঢুকে প্রথমে ব্যাপক আশান্বিত আর পরমুহূর্তেই ব্যাপক ব্যথিত হতে হলো৷ প্রথমত, এর বিষয়বস্তু পড়া মোটামুটি অসাধ্য৷ ফন্ট ডাউনলোড করে যদিও বা কিছুটা পড়া যায়, লিংকগুলো অধিকাংশই কাজ করে না৷

কি? ভাবছেন তো, এসব সাইট-ফাইট দিয়ে তো আর কবিগুরুর মূল্যায়ন করা যাবে না, বরং তাঁর স্থান বাঙালির হৃদয়ে৷ ঠিক তাই, আমিও এমনটাই মনে করি৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী