1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্টারনেট শেঙেনের চেয়ে বিপজ্জনক?

২২ জানুয়ারি ২০১৭

ইউরোপে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার কারণ নাকি শেঙেন চুক্তি৷ এ মত অনেকেরই৷ তবে ডয়চে ভেলের ‘কনফ্লিক্ট জোন' অনুষ্ঠানে ইউরোপোল প্রধান রব ওয়েনরাইট জানান, শেঙেন চুক্তি নয়, ইউরোপে ইন্টারনেটই সন্ত্রাসের জন্য দায়ী৷

https://p.dw.com/p/2W6HD
ইউরোপের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান বব ওয়েনরাইট
ইউরোপের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান বব ওয়েনরাইট

‘‘দুর্ভাগ্যক্রমে বার্লিন (অর্থাৎ ১৯শে ডিসেম্বরের আক্রমণ) আমাদের দুঃখজনকভাবে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমরা হাজার হাজার সম্ভাব্য উগ্রপন্থিদের নিয়ে কাজ করছি যারা এ ধরনের আক্রমণ করতে পারে'', বলেন ইউরোপের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান বব ওয়েনরাইট৷

ইউরোপোল ‘‘সেই বিপদকে শূন্যে নামিয়ে আনতে পারে না'', বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ ইউরোপোলের প্রতিপক্ষ আজ ‘‘আইএস-এর মতো একটি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও ক্ষমতাশালী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী, যারা তাদের যুদ্ধ চোরাপথে ইউরোপে আনতে বদ্ধপরিকর, যেমন আমরা প্যারিস ও ব্রাসেলস এবং এখন বার্লিনেও দেখেছি'', বলেন ওয়েনরাইট৷

গত ডিসেম্বরে বার্লিনের একটি বড়দিনের বাজারের উপর আক্রমণের আততায়ী আনিস আমরির রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন নাকচ হয়েছিল, কিন্তু টিউনিশিয়া থেকে তার কাগজপত্র না আসায় তাকে বহিষ্কার করা যায়নি৷ সেপ্টেম্বরে মরক্কোর গুপ্তচর বিভাগ দু'দু'বার জার্মান গুপ্তচর বিভাগকে আমরি সম্পর্কে সাবধান করে দেয়৷ আমরি মার্কিনিদের তালিকায় ছিল ও ইটালিতে জেল খেটেছে৷

তাহলে কি কর্তৃপক্ষ কিছু করার আগে আমরিকে খবরের কাগজে তার সন্ত্রাসী পরিকল্পনার নোটিস দিতে হবে? বব ওয়েনরাইটকে প্রশ্ন করেন ‘‘কনফ্লিক্ট জোন''-এর সঞ্চালক টিম সেবাস্টিয়ান৷ এক্ষেত্রে ওয়েনরাইট ইউরোপোলের কোনো দায়িত্ব অস্বীকার করেন৷ ইউরোপ জুড়ে বহু মানুষের ওপর নজর রাখা হচ্ছে, কিন্তু এ ধরনের মানুষের সংখ্যা এত বেশি যে, কার তরফ থেকে যে পরবর্তী আক্রমণ আসবে, তা ভবিষ্যদ্বাণী করা সহজ নয় – বলেন বব ওয়েনরাইট৷

ডয়চে ভেলের ‘কনফ্লিক্ট জোন' অনুষ্ঠানে ইউরোপোল প্রধান রব ওয়েনরাইট
ডয়চে ভেলের ‘কনফ্লিক্ট জোন' অনুষ্ঠানে ইউরোপোল প্রধান রব ওয়েনরাইটছবি: DW

বস্তুত ইউরোপোলের সংগ্রাম সংগঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধবৃত্তির বিরুদ্ধে হলেও, ইউরোপোল ইইউ-এর সদস্যদেশগুলিতে তদন্ত চালাতে পারে না অথবা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পারে না৷ কাজেই ইইউ-এর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রধানত একটি তথ্য আদানপ্রদানের পন্থা ছাড়া আর বিশেষ কিছু নয়, যে কারণে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া ইউরোপোলের পক্ষে সম্ভব নয়৷

ওয়েনরাইটকে প্রশ্ন করা হয় যে, শেঙেন চুক্তি অনুযায়ী ইইউ-এর অভ্যন্তরে অবাধ যাতায়াতের স্বাধীনতা এই সন্ত্রাসবাদের যুগে নিরাপত্তার বাস্তবসম্মত নীতি হতে পারে কিনা৷ সেই প্রসঙ্গে ওয়েনরাইট বলেন যে, শেঙেন চুক্তির চেয়ে ইন্টারনেটই অপরাধ ও সন্ত্রাসকে সহজতর করে তুলেছে – ‘‘কিন্তু সেজন্য কেউ ইন্টারনেট পরিত্যাগ করার কথা বলছেন না৷''  জনসাধারণের কাছ থেকে এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা বা স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়াটা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হতে পারে না, বলে অভিমত প্রকাশ করেন বব ওয়েনরাইট৷

কারোলিন স্মিট/এসি

আপনার কী মনে হয়? কোনটা বেশি বিপজ্জনক? ইন্টারনেটের বিস্তার না শেঙেন চুক্তি? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য