1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্টারনেট সেন্সরশিপ ঠেকাতে বিশেষ সফটওয়্যার

২৩ এপ্রিল ২০১০

ইন্টারনেট সেন্সরশিপ, ফিল্টারিং বা ব্লকিংয়ে বেশ এগিয়ে গেছে কয়েকটি দেশ৷ বিশেষ করে ইরানে ইন্টারনেটের উপর কড়াকড়ি খুব বেশি৷ চীনেও মাঝামাঝে শোনা যায় এমন কথা৷ কিন্তু এবার সমাধান নিয়ে হাজির প্রোগ্রামাররা৷

https://p.dw.com/p/N4SR
এবার কি করবে ইরানের সাইবার আর্মি?ছবি: Behzad Keshmiripour

মার্কিন প্রোগ্রামাররা শোনাচ্ছে এমন সফটওয়্যারের কথা যা ফিল্টারিংতো কাটাবেই, একই সঙ্গে লুকিয়ে রাখবে ব্যবহারকারীর ঠিকানাও৷ শুধু তাই নয়, এটি চলবে খুব কম গতির ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রেও৷ আর পাওয়া যাবে বিনা খরচায়৷

সফটওয়্যারটির নাম হেস্ট্যাক, নির্মাতা সান ফ্রান্সিসকোয় অবস্থিত সেন্সরশিপ রিসার্চ সেন্টার বা সি.আর.সি৷ এই প্রসঙ্গে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক অস্টিন হিপ জানিয়েছেন, হেস্ট্যাক ব্যবহারের ফলে মনে হবে ব্যবহারকারী সবসময়ই সাধারণ কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন৷ মনে হবে ওয়েদার ডট কম কিংবা কোন ছবি ডাউনলোড করছেন৷ অথচ এর আড়ালে তিনি যেকোন ফিল্টারড ওয়েবসাইটও পরিদর্শন করতে পারবেন৷ ফলে কোন ফিল্টারিং সফটওয়্যার সেটিকে আটকাতে পারবে না৷

বলাবাহুল্য, এমন সফটওয়্যার এই মুহূর্তে ইরানের সাধারণ মানুষের জন্যই বেশি প্রয়োজন৷ কারণ সেখানে সেন্সরের চর্চাটা বড় বেশি৷ আর তাই মার্কিন সরকারও সফটওয়্যারটিকে ইরানে রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে৷ ফলে খুশি অস্টিন হিপ৷ জানালেন, হেস্ট্যাকের মাধ্যমে আমরা ইরানের সাধারণ মানুষকে সরকারি ফিল্টারমুক্ত ইন্টারনেটের সন্ধান দেবো৷

এদিকে, ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, অ্যান্টি-ফিল্টারিং সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আসলে সি.আই.এ গুপ্তচরবৃত্তি বাড়াতে চাচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, এটি ইরান সরকারের বিপক্ষে রাজনৈতিক বিরোধিতা বাড়ানোর একটি চেষ্টা বলে দাবি পত্রিকাগুলোর৷

প্রসঙ্গত, হেস্ট্যাক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে৷ তবে, ইরানের জন্য রয়েছে কিছুটা বাড়তি সতর্কতা৷ সেখানকার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে সি.আর.সি'র অনুরোধ, দয়া করে সিডি, পেনড্রাইভের কিংবা অফলাইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যেন ছড়িয়ে দেয়া হয় এই সফটওয়্যারকে৷ কেননা ইন্টারনেট থেকে সরাসরি ডাউনলোড করতে গেলে ধরা পড়ার আশঙ্কা থাকতে পারে৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক