1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইব্রাহিম খালেদের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা

১৬ এপ্রিল ২০১১

ইব্রাহিম খালেদের বক্তব্যের সমালোচনা, সংবিধান সংশোধন, বিসিএস পরীক্ষার জন্য নতুন সুপারিশ - এসবই শনিবারের ঢাকার পত্রপত্রিকার প্রধান প্রধান খবর৷

https://p.dw.com/p/10uYA
ছবি: DW

খালেদের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া

শেয়ার কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের বিচার সেনা শাসনেই সম্ভব, এমন মন্তব্য করেছিলেন শেয়ার বাজারে কারসাজি তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান ইব্রাহিম খালেদ৷ পরে তিনি তাঁর বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন বলে জানাচ্ছে সংবাদ মাধ্যমগুলো৷ বেশিরভাগ পত্রিকাতেই বিষয়টি বেশ গুরুত্ব পেয়েছে৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, খালেদ তাঁর বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন৷ তিনি বলছেন, বৃহস্পতিবার একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি যা বলেছেন, তা ঠিকভাবে উদ্ধৃত করা হয়নি৷ এছাড়া কালের কণ্ঠকে খালেদ বলেন কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের বিচার গণতান্ত্রিক আইন অনুযায়ীই করতে হবে৷ সমকাল বলছে খালেদের বক্তব্য বেশ আলোড়ন তুলেছে৷ সরকার, বিরোধী দল সহ প্রায় সবাই তাঁর এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছে৷ বিএনপি বলেছে গণতান্ত্রিক আইনেই বিচার সম্ভব৷ আইনমন্ত্রীও খালেদের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন৷ এছাড়া তাঁর এই বক্তব্য ‘উস্কানিমূলক' ও ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলে উল্লেখ করেছেন দেশের দুই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী৷ আর রাশেদ খান মেনন বলেন দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে হতাশা থেকেই খালেদ এই মন্তব্য করেছেন৷

সংবিধান সংশোধন

প্রথম আলো বলছে সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে বিরোধী দলীয় নেতার মতামত নেবে বিশেষ সংসদীয় কমিটি৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আগামী ২৬ এপ্রিল বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে মতবিনিময়ের সম্ভাব্য তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি৷ চলতি সপ্তাহে খালেদাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হতে পারে৷ তবে খালেদা জিয়া মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে পত্রিকাটি৷

বিসিএস

বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে নতুন কিছু সুপারিশের কথা প্রকাশ করেছে কালের কণ্ঠ৷ আজ তাদের প্রধান প্রতিবেদন এই বিষয়টি নিয়েই৷ এছাড়া গত পাঁচটি বিসিএস পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে একটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন ছেপেছে পত্রিকাটি৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ছেলেদের সঙ্গে মেয়েরা সমানে পাল্লা দিলেও বিসিএস পরীক্ষায় সেটা দেখা যায় না৷ বরং মেয়েরা অনেক পিছিয়ে থাকে৷ এছাড়া শিক্ষকের সন্তানরাই বিসিএসে বেশি সুযোগ পায় বলে জানা গেছে৷ এরপর ক্রমান্বয়ে রয়েছে ব্যবসায়ী, কৃষক, প্রকৌশলী, ডাক্তার ও আইনজীবীর সন্তানেরা৷

গ্রন্থনা: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম