1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ইভ-টিজার' শিক্ষককে পেটালো ছাত্রী

৩০ আগস্ট ২০১৬

ঘটনাটা ঘটে ভারতের ভুবনেশ্বরে, উৎকল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে৷ রবিবার ছুটির দিন, কোনো ক্লাস ছিল না৷ তাই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর বেশ ফাঁকাই ছিল৷ আর তারই সুযোগ নেয় বিনোদ সাহু৷ হোস্টেলে ঢোকার সময় এক ছাত্রীর পথ রোধ করে দাঁড়ায় সে৷

https://p.dw.com/p/1Js9z
ছবি: picture alliance/dpa/P. Pleul

ছাত্রীটি জানন, ‘‘হোস্টেলের একটু দূর থেকেই একটা লোক আমাকে ‘ফলো' করছিল৷ চাইছিল যাতে আমি তার মোটরবাইকে উঠে বসি৷ কিন্তু আমি পাত্তা না দেয়ায়, সে মোটরসাইকেলটা দিয়ে আমার পথ আগলে দাঁড়ায়৷ তারপর অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে শুরু করে৷ প্রথমে আমি ঘাবড়ে যাই৷ কিন্তু পরে তাড়াতাড়ি একটা ফোন করে এক বান্ধবীকে ডেকে আনি৷''

তারপর আর কী? মাতাল শিক্ষককে রাস্তায় হাঁটু গেড়ে বসিয়ে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে দুই বান্ধবী৷ যতবারই লোকটা উঠে দাঁড়াতে চায়, ততবারই তাকে ওড়িয়া ভাষায় ধমক দিয়ে আবারো বসিয়ে দেয় তারা৷ জোড় হাতে ক্ষমা চেয়েও রেহাই পায়নি বিনোদ সাহু৷ বরং পিঠে আরো বেশ কয়েক ঘা পড়ে তার৷

একটা সময় সেখানে পুলিশ হাজির হয়, জড়ো হয় অন্যরাও৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাটার একটি ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে৷ ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, দুই ছাত্রী ক্রমাগত বাঁশ দিয়ে পেটাচ্ছে রাস্তায় বসে থাকা ন্যাড়া মাথার মধ্যবয়সি একটা লোককে৷

বলা বাহুল্য, অসংখ্য মানুষ এই ভিডিও দেখে মেয়ে দু'টির প্রসংশা করে ‘পোস্ট' দিয়েছে৷ খুব দ্রুত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশকেও বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে হয়েছে৷ তাই তো, সোমবারই বিনোদ সাহুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ মাতাল ব্যক্তিটি পেশায় গৃহশিক্ষক বলে জানিয়েছে তারা৷

ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে‘ইভ টিজার' বা নারী উত্যক্তকারীদের এভাবে শাস্তি দেয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে৷ অনেক ক্ষেত্রে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আগেই ধরা পড়ে মার খেয়েছে ইভ টিজাররা৷ পরে সেই ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ এতে নারী যেমন শক্তিশালী হয়েছে, ইভ টিজারদের বিরুদ্ধে জনরোষও বেড়েছে৷

ডিজি/এসিবি

কী মনে হয় বন্ধুরা? মেয়ে দু’টি ‘ইভ টিজার’ শিক্ষকটিকে পিটিয়ে কি ঠিক করেছে? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান