1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকের গোপন বন্দিশালায় নির্যাতনের অভিযোগ

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১০

ইরাকের কারাগারে আটক প্রায় ৩০ হাজার বন্দি৷ শিকার হচ্ছে কঠোর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের৷ এমনকি কোন আইনি সহায়তাও পাচ্ছে না তারা৷ বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারিয়েছে অনেকে৷ এসব অভিযোগ উত্থাপন করল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷

https://p.dw.com/p/PAtv
Basra, Iraq, secret police, prison, cell, jail, ইরাক, অ্যামনেস্টি
ফাইল ছবিছবি: AP

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা অ্যামনেস্টি সোমবার প্রকাশ করলো ইরাকের এসব বন্দির তথ্য৷ সংস্থাটির ৫৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে তাদের বন্দিত্ব ও নির্যাতনের ঘটনা৷ প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘‘একই ঘটনার নতুন ধরণ: ইরাকে বেআইনি আটক ও নির্যাতন''৷ ইতিমধ্যে যেসব বন্দি সেখানে নৃশংস নির্যাতন এবং মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছে এমন অনেকের পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে৷

হতভাগা এসব বন্দিদের একজন রিয়াদ মোহাম্মদ সালেহ আল-ওকাইবি৷ অ্যামনেস্টি বলছে, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁকে আটক করা হয়েছিল৷ এরপর গোপন কারাকক্ষে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর বুকে সজোরে আঘাত করা হয়৷ ফলে তাঁর বুকের হাড় ভেঙ্গে যায় এবং যকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গত ১২ অথবা ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান৷ এমনকি তাঁর মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ পর৷

এসব কারাবন্দির উপর নানা নৃশংস নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে অ্যামনেস্টি৷ এগুলোর মধ্যে রয়েছে, বৈদ্যুতিক তার ও পানির পাইপের ব্যবহার, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের হানি, যন্ত্র দিয়ে শরীর ফুঁড়ে দেওয়া এবং ধর্ষণসহ নানা উপায়ে মানসিক অত্যাচার চালানো৷ এছাড়া, কুর্দি পুলিশের বিরুদ্ধেও বন্দিদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হয়েছে৷ এমনকি কুর্দিস্তানের কারাগারে একজন ব্যক্তিকে দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিনাবিচারে বন্দি রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ঐ প্রতিবেদনে৷

ইরাকের গোপন কারাগারসমূহে এমন আইন বহির্ভূত বন্দি এবং তাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ এটিই প্রথম নয়৷ বাগদাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে গত এপ্রিলেই অভিযোগ উত্থাপন করে অপর সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ'৷ তাদের মতে, এসব গোপন বন্দিশালায় আটককৃতদের উপর ধর্ষণ, বৈদ্যুতিক শক এবং বেদম প্রহারের মতো নির্যাতন চালানো হচ্ছে৷

উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অধিকাংশ কারাবন্দির দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে বাগদাদ৷ এছাড়া, গত মাসে ইরাক থেকে সকল কমব্যাট সৈন্য প্রত্যাহারের সময় বাকি বন্দিদেরও তুলে দেওয়া হয়েছে ইরাকি কর্তৃপক্ষের হাতে৷ কিন্তু এসব বন্দির উপর নির্যাতন না করার ব্যাপারে কোন নিশ্চয়তা ছাড়াই কেন তাদেরকে ইরাকি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিল আমেরিকা - এজন্য আমেরিকারও সমালোচনা করেছে অ্যামনেস্টি৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ