1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আতঙ্কের নগর মসুল

১১ জুন ২০১৪

ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর মসুল দখল করে নিয়েছে ইসলামি ‘সন্ত্রাসবাদী সংগঠন' আইএসআইএল৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি৷ আতঙ্কে শহর ছাড়ছেন লাখো মানুষ৷

https://p.dw.com/p/1CGOh
Peshmerga Kämpfer und Flüchtlinge in Irak 10.06.2014
ছবি: Safin Hamed/AFP/Getty Images

ঝটিকা আক্রমণে মসুল নগর দখল করে নিয়েছে সুন্নিদের সংগঠন আইএসআইএল৷ তাদের বিরুদ্ধে ইরাকি সেনাবাহিনী দৃশ্যত কোনো প্রতিরোধ গড়ে তোলেনি বলে অভিযোগ উঠেছে৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্মকর্তা এ অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, ‘‘আমরা তাদের হারাতে পারবো না৷ রাস্তায় লড়াই করায় ওরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত৷ আমাদের সেরকম কোনো প্রশিক্ষণ নেই৷ ওদের মসুল থেকে হঠাতে হলে পুরো সেনাবাহিনীকে মাঠে নামাতে হবে৷'' কিন্তু মেসুলের সাধারণ নাগরিক মাহমুদ নূরী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘‘সেনা সদস্যরা লড়াইয়ের কোনো চেষ্টা না করেই অস্ত্র সমর্পন করেছেন৷ তারপর তাঁরা পোশাক বদলে শহর ছেড়ে চলে গেছেন৷ আমরা কোনো পক্ষকে একটা গুলিও ছুড়তে দেখিনি৷''

মসুল আইএসআইএল-এর দখলে চলে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি জরুরি মন্ত্রী পরিষদ বৈঠক আহ্বান করেন৷ বৈঠকের পর মসুল শহরকে ‘সন্ত্রাসীমুক্ত' করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘‘সরকার কখনোই মসুল এবং নিনেভেতে সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাসবাদের কালো ছায়া মেনে নেবে না৷''

এ সময় তিনি সাধারণ জনগণের প্রতিও আইএসআইএল-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান৷ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কোনো সেনাসদস্য নিষ্ক্রিয় থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি৷

গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুননির্বাচিত হন নুরি আল-মালিকি৷ ইরাককে বিচ্ছিন্নতাবাদীমুক্ত করার অঙ্গীকার করে দ্বিতীয় দফা প্রধানমন্ত্রী হবার দু'মাসের মধ্যেই সুন্নীদের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আইএসআইএল-র দখলে চলে গেল নিনেভে রাজ্যের রাজধানী মসুল৷ ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষের শহরটি এখন আতঙ্কের জনপদ৷ অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএম-এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫ লাখ মানুষ প্রাণভয়ে মসুল ছেড়েছে৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)