1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে আত্মঘাতী বোমা হামলায় পুলিশসহ নিহত ৩৩

৩ মার্চ ২০১০

ইরাকে বুধবার তিনটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ১০ জন পুলিশসহ ৩৩ জন নিহত হয়েছে৷ রোববার দেশটিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/MIiN
বাকুবাতে প্রায়ই বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছবি: picture-alliance/ dpa

বাগদাদ থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তরে বাকুবা শহরে এ হামলায় ৫৫ জন আহত হয়েছে৷ হামলার পরপরই শহরটিতে কারফিউ জারি করা হয়৷ ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী ইরাক দখলের পর থেকে বাকুবাতে সুন্নি সন্ত্রাসীদের প্রভাব দেখা যাচ্ছে৷

উল্লেখ্য, ইরাকে আল কায়েদার নেতা আবু ওমর আল-বাগদাদি গত মাসে নির্বাচন বানচাল করার হুমকি দেয়ার পর এই হামলা চালানো হলো৷ বাগদাদি বলেন, এ নির্বাচন হলো একটি রাজনৈতিক অপরাধ, যা শিয়াদের পরিকল্পিত৷

২০১১ সালের পর মার্কিন বাহিনী ইরাক থেকে পুরোপুরি চলে যাবে কি না তা নির্ধারণে এই নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ ২০০৩ সালে সাদ্দাম হুসেনের সরকার উত্খাতের পর ইরাকে এটা দ্বিতীয় নির্বাচন৷

Anschlag in Bakuba, nordöstlich von Bagdad
ছবি: picture-alliance/ dpa

বাকুবা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে স্থানীয় আবাসন কার্যালয়ের সামনে একটি ও ট্রাফিক ইন্টারসেকশনের কাছে আরেকটি গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে৷ এরপর আহতদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় পুলিশের পোশাক পরা একজন আত্মঘাতী হামলাকারী অ্যাম্বুলেন্সে উঠে যায়৷ এরপর হাসপাতালে গিয়ে জরুরি বিভাগের সামনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়৷ আহতদের দেখতে পুলিশ প্রধান সেখানে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করেই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের একজন মুখপাত্র৷ তবে ভাগ্যক্রমে পুলিশ প্রধানের কিছু না হলেও তাঁর নিরাপত্তা বিধানে কর্মরত পুলিশের কয়েক সদস্য নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে৷

আহত এক পুলিশ সদস্য হাসান তামিমি বলেছে, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পরই পুলিশ প্রধান তাদের দেখতে সেখানে যান৷ তিনি বলেন, আমি নিজে একজন আহত মানুষকে নিয়ে জরুরি বিভাগে ঢোকার সময় দরজাতেই বিস্ফোরণটি ঘটে৷ মার্কিন ও ইরাকী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালটি ঘিরে রেখেছে৷

প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির উপদেষ্টা আলি আল-মুসাভি বলেছেন, রোববারের নির্বাচন বানচাল করার পরিকল্পনা হিসেবেই সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে৷ কারণ এ নির্বাচন তাদের জন্য হুমকিস্বরূপ৷ এজন্য তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে৷ এ ধরণের হামলা চালিয়ে তারা জনসাধারণকে ভয় পাওয়াতে চাচ্ছে যেন তারা ভোট দিতে না যায়৷

দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সাফা হুসেইন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, যেসব গোষ্ঠী রোববারের নির্বাচনের জন্য হুমকিস্বরূপ তাদের মধ্যে আল কায়েদাই হলো সবচেয়ে শক্তিশালী৷

উল্লেখ্য, এর আগে গতমাসের ৫ তারিখে পবিত্র শহর কারবালায় এক ধর্মীয় শোক অনুষ্ঠানে হামলায় ৪১ জন শিয়া নিহত হয়৷

প্রতিবেদন : জাহিদুল হক

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক