1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে জোড়া বোমা হামলায় নিহত কমপক্ষে ২৯

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০

ইরাকে রবিবার একাধিক বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ২৯ জন, আহত ১১১ জন৷ এই মাসে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা৷ এদিকে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দিতে ইরাকের নিজস্ব বাহিনী এখনও প্রস্তুত নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের৷

https://p.dw.com/p/PG6j
ইরাকে বোমা হামলা (ফাইল ফটো)ছবি: AP

মনসুর-এ বোমা হামলা

বাগদাদের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের আল-মনসুর শহরে গাড়ি বোমা হামলায় প্রাণ হারায় কমপক্ষে ১০ জন৷ বার্তা সংস্থা ডিপিএ অবশ্য জানাচ্ছে সেখানে প্রাণহানির সংখ্যা ১৮ জন৷ মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এশিয়াসেলের কার্যালয়ের সামনে এই বোমার বিস্ফোরণ ঘটে৷ এতে দুটি ভবন ধ্বংস হয় এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্বলে যায়৷ বিস্ফোরণের পর রাস্তায় মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার খবর জানিয়েছে প্রতক্ষ্যদর্শীরা৷ এশিয়াসেলের এক কর্মকর্তা তাঁর একাধিক সহকর্মীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন এবং কমপক্ষে ১০ সহকর্মী আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন৷ তবে, এশিয়াসেলই বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল কি না তা এখনো জানা যায়নি৷

Selbstmordanschlag in Baghdad, Irak
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা পরিস্থিতিরও অবনতি হচ্ছে ইরাকে (ফাইল ফটো)ছবি: AP

আডেন জংশনেও বোমা

‘এটি ছিল একটি মিনিবাস, বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে গাড়ির চালক কয়েকজনকে জানান যে, তিনি ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন' - বাগদাদের উত্তরে আডেন জংশনের বিস্ফোরণ সম্পর্কে একথা জানান প্রতক্ষ্যদর্শীরা৷ একটি জাতীয় নিরাপত্তা কার্যালয়ের সামনে এই বিস্ফোরণ ঘটে৷ সেখানে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৯ জন৷ তবে বার্তা সংস্থা ডিপিএ'র দাবি, নিহতের সংখ্যা ১২ জন৷ এতে জাতীয় নিরাপত্তা কার্যালয়ের ভবনটি ভেঙ্গে পড়েছে৷ আশেপাশের কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷

নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি

এখানে বলা প্রয়োজন, ইরাকের রাজনৈতিক অবস্থা এখন বেশ নাজুক৷ গত মার্চ মাসে নির্বাচন হলেও এখনো কোন দল সরকার গঠন করতে পারেনি৷ মোটের ওপর একদিকে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহার চলছে, অন্যদিকে নিরাপত্তা পরিস্থিতিরও অবনতি ঘটছে৷ তাই বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ইরাকের নিজস্ব বাহিনী সেদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয়৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার