1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানি নারী সাখিনাকে পাথর ছুঁড়ে মারা হবেনা

৯ জুলাই ২০১০

ইরানি নারী সাখিনাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা হবেনা৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিরোধের মুখে শুক্রবার ইরান ঘোষণা দিয়েছে, বিয়ে বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক গড়ার অপরাধে দণ্ডিত ঐ নারীকে পাথর ছুঁড়ে মারা হবেনা৷

https://p.dw.com/p/OFOz
ইরানি নারী (ফাইল ছবি)ছবি: AP

যদিও এর আগে মৃত্যদন্ডপ্রাপ্ত সখিনাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলার আদেশ দেয় ইরানের আদালত৷

ব্রিটেনের দৈনিক টাইমস পত্রিকা লিখেছে, লন্ডনে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাস একটি বিবৃতিতে জানায়, ইরানের সংশ্লিষ্ট আদালতের দেয়া তথ্য অনুসারে ৪৩ বছর বয়সি সাখিনা আশতিয়ানিকে পাথর ছুঁড়ে মারা হবেনা৷ কিন্তু এই বিবৃতিতে বলা হয়নি তাকে দণ্ড থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে নাকি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কাযর্কর করা হবে৷

আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ২০০৬ বা ২০০৭ সালে সাখিনাকে মৃত্যুদন্ড দেয় আদালত৷ এর আগে ৯৯টি বেত্রাঘাত করা হয় তাঁকে৷

যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সহ গোটা বিশ্বে পাথর ছুঁড়ে মারার সিদ্ধান্তের বিরুদ্দে নিন্দার ঝড় ওঠে৷ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বৃহস্পতিবার সারা বিশ্বের জন্য মধ্যযুগীয় এই শাস্তিকে ভীতিকর ও শংকার বিষয় উল্লেখ করেন৷ বলেন, আমি পত্রিকায় শাস্তির ধরণটি পড়ে আতংকিত হয়েছি৷ তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি আধুনিক বিশ্বে মধ্যযুগীয় এ শাস্তির কোনো স্থান নেই৷ আর ইরানে এধরণের শাস্তি অব্যাহত রাখাকে আমরা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বলেই মনে করছি৷

এদিকে ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেন, পাথর ছুঁড়ে মৃত্যদন্ড কার্যকর করা নির্যাতনের সামিল৷ এটি একটি বর্বরোচিত ও ঘৃণ্য আইন৷ নির্যাতন করে এভাবে যেখানেই মারা হোক না কেন আমরা তার কঠোর নিন্দা জানাই৷

এরইমধ্যে বিশ্বের অনেক প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের স্বাক্ষরসহ একটি খোলা চিঠিতে নিন্দা জানিয়ে এই শাস্তি বন্ধের জন্য প্রচারাভিযান জোরদার হয়েছে৷ অন্যদিকে ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর তাবরিজের কারাগারে মৃত্যুর প্রহর গুনছে সাখিনা৷ মৃত্যুর আগেই তিনি অসহনীয় কষ্ট ও যন্ত্রণা ভোগ করছেন বলে চিঠিটিতে বলা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক