1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে জাতিসংঘে আজ ভোটাভুটি

৯ জুন ২০১০

ইরানের ওপর চতুর্থবারের মত নিষেধাজ্ঞা আরোপের খসড়া নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বুধবার ভোটাভুটি হতে যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/Nlen
হিলারি ক্লিন্টন: নিষেধাজ্ঞা আগের চেয়ে কঠোর হবেছবি: picture alliance/dpa

এর মাধ্যমে ইরানের ওপর যে আবার নিষেধাজ্ঞা আসতে যাচ্ছে সে ব্যাপারটি মোটামুটি নিশ্চিত৷ কারণ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১৫৷ এর মধ্যে নয়টি ভোট খসড়ার পক্ষে পড়লেই তা পাশ হয়ে যাবে৷ আর ছয়টি ভোট তো এখনই নিশ্চিত৷ কারণ তারাই খসড়াটি তৈরি করেছে৷ এই ভোট ছয়টি হলো নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য ও জার্মানি'র৷ অর্থাৎ আর প্রয়োজন থাকবে মাত্র তিনটি ভোটের৷ তবে এখানে একটি কথা বলে রাখা ভাল যে, রাশিয়া এই নিষেধাজ্ঞার পক্ষে হলেও তারা চায় না কোনো কঠোর কিছু করা হোক৷ ইরানের জনগণ বিপদে পড়ে যাবে এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ঠিক হবেনা, বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুটিন৷ তবে এই নিষেধাজ্ঞা খসড়ার মূল উদ্যোক্তা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন কিন্তু বলছেন যে, আগের যে কোন সময়ের চেয়ে এবারের নিষেধাজ্ঞা হবে বেশি শক্তিশালী৷

কেন এই নিষেধাজ্ঞা

ইরানের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে৷ যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা বিশ্বের আশঙ্কা, দেশটি এই কর্মসূচির আড়ালে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে৷ কিন্তু ইরান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে৷ বরং তাদের দাবি, পরমাণু জ্বালানি তৈরিই হলো এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য৷

খসড়ার বিষয়াদি

এই খসড়ার মূল যে বিষয় সেটা হলো- অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা৷ এছাড়া রয়েছে ইরানের ব্যাংকিং খাতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ও দেশের বাইরে ইউরেনিয়াম মাইনিং-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা৷ আর গভীর সমুদ্রে চলাচলকারী ইরানের কোনো জাহাজের ব্যাপারে সন্দেহ হলে অনুমোদিত কয়েকটি দেশ তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে পারবে৷ অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞা আছে, এমন কোনো জিনিস যেন ইরানে ঢুকতে না পারে এবং ইরান থেকে এধরণের কোন জিনিস যেন অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া না যায়, সেটা নিশ্চিত করা হবে৷

ইরানের প্রতিক্রিয়া

ইরান মাত্র ক'দিন আগেই আন্তর্জাতিক বিশ্বের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে দেশের বাইরে ইউরেনিয়াম পাঠাতে রাজি হয়েছিল৷ এ ব্যাপারে তারা ব্রাজিল আর তুরস্কের সঙ্গে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেছিল৷ কিন্তু এরপরও জাতিসংঘ যখন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে তখন সে ব্যাপারটিকে ইরান স্বভাবতই ভাল চোখে দেখছেনা৷ সত্যি সত্যিই যদি নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে যায় তাহলে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আর কোন ধরণের আলোচনায় বসবেনা বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ৷ তবে ইরান যেন আলোচনার পথ একেবারে বন্ধ করে না দেয় সে ব্যাপারে তুরস্ক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়