1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের সঙ্গে চূড়ান্ত রফা

১৬ মে ২০১৪

ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সংকট কাটাতে আগামী ২০শে জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা চলছে৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫ স্থায়ী সদস্য ও জার্মানি ভিয়েনায় ইরানের সঙ্গে চতুর্থ দফার আলোচনা চালাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1C16o
Iran Atomstreit Verhandlung Vize Außenminister Abbas Araghchi in Wien
ভিয়েনায় ইরানের উচ্চপদস্থ কূটনীতিক আব্বাস আরাকচিছবি: picture alliance/APA/picturedesk.com

গোটা বিশ্বের নজর ইউক্রেন ও সিরিয়ার সংকটের দিকে৷ ফলে ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলের আলোচনার বিষয়টি অনেকটা নেপথ্যে চলে এসেছে৷ ইরানের এক উচ্চপদস্থ কূটনীতিক শুক্রবার আলোচনায় অগ্রগতির উল্লেখ করেছেন৷ আব্বাস আরাকচি বলেন, আলোচনার পরিবেশ ভালো৷ তবে আলোচনা অত্যন্ত কঠিন ও ধীর গতিতে এগোচ্ছে৷ উল্লেখ্য, বুধবার ভিয়েনায় চলতি দফার আলোচনা শুরু হয়েছে৷ উদ্দেশ্য, ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচিকে ঘিরে সংকটের চূড়ান্ত সমাধানসূত্রে আসা৷

এই নিয়ে চতুর্থ দফার আলোচনা যে চলছে, সেই ঘটনাকেই ইতিবাচক হিসেবে গণ্য করছেন পর্যবেক্ষকরা৷ রাতারাতি কোনো চমকের আশা নেই৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য ও জার্মানি তাই দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত৷ প্রাথমিক আলোচনার পর চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রের খসড়া নিয়ে আলোচনা চলছে৷ ইরানের কাছে আন্তর্জাতিক মহলের দাবি হলো, সে দেশ যেন পরমাণু কর্মসূচির মাত্রা এতটাই কমিয়ে দেয়, যাতে আণবিক বোমা তৈরির প্রচেষ্টা একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়ে৷ সেইসঙ্গে এমন প্রচেষ্টা যাতে সহজেই চিহ্নিত করা যায়, সেই ব্যবস্থাও রাখতে হবে৷ আগামী ২০শে জুলাইয়ের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে৷ কারণ নভেম্বরে স্বাক্ষরিত প্রাথমিক চুক্তির মেয়াদ সে দিনই শেষ হবে৷

আলোচনায় অংশ নিলেও ইরানের আন্তরিকতা নিয়ে সংশয় কিন্তু কাটছে না৷ জাতিসংঘের এক রিপোর্ট অনুযায়ী ইরান ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ সে দেশের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই নিজেই বড় আকারে এমন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন৷ ইরান বরাবর ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়টি পরমাণু কর্মসূচি সংক্রান্ত আলোচনার বাইরে রাখার কথা বলে এসেছে৷ মার্কিন প্রশাসন অবশ্য তাতে রাজি নয়৷ পরমাণু অস্ত্র বহনের ক্ষমতা রাখে – এমন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে বলে মনে করে ওয়াশিংটন৷ এ প্রসঙ্গে ২০১০ সালে নিরাপত্তা পরিষদের এক প্রস্তাবের উল্লেখ করেছে ওবামা প্রশাসন৷ অন্যদিকে রাশিয়া সেটা চায় না৷

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার মার্কিন প্রশাসনকে ইরানের সঙ্গে রফার বিষয়ে আবার সাবধান করে দিয়েছেন৷ সে দেশকে কোনো রকম ছাড় যাতে দেওয়া না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে, বলেন তিনি৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য