1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানে আশ্রয় নিতে পারেন বাংলাদেশিরা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৩ জুন ২০১৪

ইরাক পরিস্থিতির কারণে সেখানে বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশিরা চাইলে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ইরানে আশ্রয় নিতে পারেন৷ ইরান সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন৷

https://p.dw.com/p/1CO84
সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের ১৪,০০০ নাগরিক এখন ইরাকে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিতছবি: dapd

রবিবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ‘মাইগ্রেশন ক্রাইসিস অবজারভেশন কমিটি'-র বৈঠক শেষে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী সেখানকার বাংলাদেশিদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘‘ইরানের বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে কথা হয়েছে আমাদের৷ তাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে, যাতে বিপদে পড়লে বাংলাদেশিরা সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন৷'' তিনি বলেন, ‘‘ইরান সরকারের সঙ্গে আমাদের এরই মধ্যে কথা হয়েছে৷ তারা ইরাকের বাংলাদেশিদের সেখানে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত৷''

খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, ‘‘আমাদের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে৷ প্রয়োজন হলে লিবিয়ার মতো ইরাক থেকেও আমরা বাংলাদেশি শ্রমিকদের দেশে ফিরিয়ে আনবো৷ আর এ জন্য আর্ন্তজাতিক অভিবাসী সংস্থার পূর্ণ সহযোগিতা পাওয়া যাবে৷''

Irak Schiiten-Miliz in Bagdad
মসুল ও তিরকিটের পরিস্থিতি খারাপছবি: MOHAMMED SAWAF/AFP/Getty Images

প্রবাসী কল্যাণ সচিব খোন্দকার শওকত হোসেন বলেন, ‘‘বাগদাদ, নাজাফসহ মূল শহরগুলোতে কোনো সমস্যা নেই৷ মসুল ও তিরকিটের পরিস্থিতি খারাপ৷ তবে ইরাকে দু'পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হচ্ছে৷ বাংলাদেশিরা কারও লক্ষ্য নয়৷ কাজেই বাংলাদেশিদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই৷ তবুও আমরা ইরানের বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছি৷ পরিস্থিতি খারাপ হলে বাংলাদেশিরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সেখানে যেতে পারবেন৷ তারপর প্রয়োজন হলে আমরা সেখান থেকে তাঁদের ফিরিয়ে আনবো৷''

এদিকে ইরাকের কিরকুক থেকে অন্যান্য দেশের সঙ্গে যেসব বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিকদের অপহরণ করা হয়েছে, তাঁদের ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো তথ্য এখনো সরকারের হাতে নেই৷ তবে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী জানান, মসুল থেকে যে ৫০ জন বাংলাদেশিকে কুর্দিস্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ৩০ জন পালিয়ে গেছেন৷ মন্ত্রীর ধারণা, তাঁরা অন্য কোনো দেশে চলে গেছে৷ তাঁদের আর ইরাকে পাওয়া যাবে না৷

Irak 21.06.2014
ইরাকে দু'পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হচ্ছেছবি: picture-alliance/dpa

ওদিকে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ থেকে ইরাকে জনশক্তি রপ্তানি আপাতত স্থগিত রয়েছে৷ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে কোনো জনশক্তি পাঠানো হবে না বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে৷

সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের ১৪,০০০ নাগরিক এখন ইরাকে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত৷ তাঁরা প্রধানত নির্মাণ শিল্পে কাজ করেন৷ তবে বাস্তবে সেখানে ৩০,০০০-এর মতো বাংলাদেশি শ্রমিক আছেন৷

গত বছর বাংলাদেশ থেকে ইরাকে ৩০,০০০ জনশক্তি পাঠানোর জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে৷ পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিক পাঠানোরও সব প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য