1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিজাব খোলার অপরাধে জেল

৮ মার্চ ২০১৮

জনসমক্ষে হিজাব খুলে উড়িয়ে দেয়ার অপরাধে ইরানে এক নারীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত৷ রায়ের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তেহরানে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেক নারী৷

https://p.dw.com/p/2twkT
ছবি: iran emrooz

৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস৷ কিন্তু ইরানে এবারে নারী দিবসে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে৷ হিজাব বন্ধের দাবিতে এবং দণ্ডপ্রাপ্ত নারীর মুক্তির দাবিতে রাজধানী তেহরানের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা৷ জনসমক্ষে হিজাব খুলে উড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে বুধবার ৩৪ বছরের এক নারীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত৷ তবে যে নারীকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি৷ ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নার্গিস হুসেইনি, যাঁকে এ বছরের শুরুতে তেহরানে আটক করা হয়েছিল৷ বিচার চলাকালীন তিনি তাঁর কৃতকর্মের জন্য কোনোরকম অনুশোচনা প্রকাশ করেননি বলে জানিয়েছেন এক আইনজীবী৷ বরং বিচারককে তিনি বোঝাতে চেষ্টা করেছেন যে জোর করে হিজাব পরানো ঠিক নয়৷

তেহরানের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্বাস জাফর দোলাতাবাদী বলেছেন, ‘‘দেশের আইনে যা বলা আছে, তা মেনেই এ রায় দেয়া হয়েছে৷'' ইরানের আইন অনুযায়ী, মহিলাদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক৷ আইনে স্পষ্ট বলা আছে, মেয়েদের চুল ঢাকতে হবে এবং শরীরের সমস্ত অংশ ঢেকে রাখতে হবে৷ প্রতিবাদ শুরু হয়েছে এর বিরুদ্ধেই৷

গত কয়েক মাস ধরে ইরানের মহিলারা তাই নতুন আন্দোলন শুরু করেছেন৷ প্রকাশ্যে হিজাব খুলে প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন তাঁরা৷ শুধু তাই নয়, তাঁদের সেই প্রতিবাদ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আপলোডও করে দিচ্ছেন৷

ডিসেম্বর থেকে ইরানি নারীদের এই আন্দোলন চরম রূপ ধারণ করেছে৷ জনসমক্ষে নারীরা তাঁদের হিজাব খুলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ কেউ কেউ সেটা লাঠিতে উড়িয়ে ব্যানার বানিয়েছেন৷ আন্দোলনকারী অন্তত ৩০ জন নারীকে এ পর্যন্ত আটক করা হয়েছে৷

ইরান সরকারের সমীক্ষা অনুযায়ী, গত এক দশক আগে সে দেশের মহিলারা হিজাবের পক্ষে ছিলেন৷ কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদেরও মত বদলেছে৷ ইরানের বেশিরভাগ মহিলা আর হিজাবের আড়ালে থাকতে চান না৷ তাঁদের বক্তব্য, হিজাব পরা বা না-পরা একেবারেই ব্যক্তিগত পছন্দ৷ প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও কিছুদিন আগে বলেছিলেন, জনগণের মতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় তাঁর সরকার৷ কিন্তু তাঁর কথা এবং সরকারের আচরণের মধ্যে খুব একটা মিল পাওয়া যাচ্ছে না৷

আন্দোলনের সূত্রপাত গত বছর৷ ইরানের বিখ্যাত সাংবাদিক মিসাহ আলিনেজাদ প্রথম ‘হ্যাশট্যাগ হোয়াইটওয়েডনেসডেজ’ আন্দোলন চালু করেন৷ নিজের হিজাব খুলে লাঠির গোড়ায় বেঁধে সেটি উড়িয়েছিলেন তিনি৷ পুরো ঘটনার ভিডিও করে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ এখনো তিনি জেলে৷

এপিবি/এসিবি (ডিপিএ)

গতবছরের জুলাই মাসের ছবিঘরটি দেখুন...