1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরান বিপ্লবের ৩৫তম বর্ষপূর্তি

১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

১৯৭৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইরানে মার্কিন সমর্থিত একনায়ক শাহ সরকারের পতন ঘটে৷ এ বছর তাই ইসলামি বিপ্লবের ৩৫ বর্ষপূর্তি উদযাপন করছেন ইরানের মানুষ৷ সেইসঙ্গে চলছে যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী বিক্ষোভও৷

https://p.dw.com/p/1B6fw
Bildergalerie Revolution 57 im Iran
ছবি: akairan.com

বিপ্লবের ৩৫তম বর্ষপূর্তিতে মঙ্গলবার রাস্তায় নেমে আসেন ইরানের হাজারো মানুষ৷ আজাদি স্কয়ারে দিবসটি উপলক্ষ্যে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি৷ অনেকেই এ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী স্লোগান দেন৷ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে ২০ বছর বয়সি এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘আমরা অ্যামেরিকাকে বিশ্বাস করি না৷ তারা আমাদের সম্পদ কুক্ষিগত করতে চায়৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক অবরোধ বরং আমাদের অধিকার রক্ষায় আরো সুবিধা করেছে৷ আর এতে আমাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না৷''

ক্ষমতাচ্যুত ইরানের সাবেক শাহকে সমর্থন করায় ১৯৮০ সালে তেহরানে মার্কিন দূতাবাসের ৫২ জন কূটনীতিককে বন্দি করে ইরানি ছাত্ররা৷ এর পর থেকে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো দাপ্তরিক সম্পর্ক নেই৷

গত বছরের নভেম্বরে ইরান এবং পি (৫+১) দেশগুলোর মধ্যে পারমাণবিক যে আলোচনা হয়, তাতে ছয় মাসের মধ্যে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি কমানোর ব্যাপারে একমত হয়৷ ইরানের আশা, এর ফলে আর্ন্তজাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল হবে৷ ঐ চুক্তির ফলে এটাই বোঝা যায়, রোহানি পররাষ্ট্রনীতিতে সফল হয়েছেন৷ কেননা গত ৮ বছর ধরে শক্তিধর দেশগুলোর সাথে ইরানের আলোচনা বন্ধ ছিল৷ বরং কট্টরপন্থী নেতা মাহমুদ আহমাদিনেজাদের কারণে আরো বেশি নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল ইরান৷

সোমবার বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে তেহরানভিত্তিক বিদেশি কূটনীতিকদের রোহানি জানান, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানির সাথে চূড়ান্ত চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা করতে ইরান প্রস্তুত৷

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সমর্থন রয়েছে রোহানির উপর৷ খামেনি গত সপ্তাহে বলেছেন, রোহানির উপর তাঁর আস্থা রয়েছে এবং সবার ধৈর্য্য ধরা উচিত৷

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ জানিয়েছেন, পরমাণু ইস্যুতে পরবর্তী দফায় আলোচনা বেশ কঠিন হবে, কেননা যুক্তরাষ্ট্রের উপর ইরানিদের কোনো আস্থা নেই৷ ১৮ ফেব্রুয়ারি আবার শুরু হবে এই আলোচনা৷

এর আগে, শনিবার আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ-র সাথে ইরানের আলোচনা শুরু হয়৷ দুই দিনের আলোচনার ফল কি হয়েছে সে ব্যাপারে দুপক্ষ মিলে যৌথ বিবৃতি দিলেও সেখানে কি কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তার বিস্তারিত জানানো হয়নি৷ আইএইএ-র ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সাতটি নতুন পদক্ষেপের ব্যাপারে তারা একমত হয়েছে, যা আগামী ১৫ মে থেকে বাস্তবায়ন করা হবে৷

এদিকে সোমবার নতুন আরো দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান৷ যেখানে শনিবার তেহরান ঘোষণা করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের দিকে জাহাজ পাঠাবে তারা৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আহমাদিনেজাদের চেয়ে কিছুটা মধ্যপন্থি ইরানের চেহারা বিশ্ব নেতাদের কাছে তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছেন রোহানি৷ তবে এর মানে এই নয় যে, ইরানের আদর্শ ও নীতিতে আসলেই যে পরিবর্তন হয়েছে তা তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছেন তিনি৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)