1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের আপত্তি

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৩ জুলাই ২০১৪

গাজায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির আঁচ পড়ল ভারতের সংসদে৷ গাজায় লাগাতার ইসরায়েলি হামলা নিয়ে বিরোধী দলগুলির বিতর্কের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে সরকার বলেছে, এতে ইসরায়েলের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে৷

https://p.dw.com/p/1Cgep
Israelische Soldaten 21.7.
গাজার উত্তরাঞ্চলে ‘স্টেজিং এরিয়ার’ দিকে তাকিয়ে আছেন এক ইসরায়েলি সেনাছবি: Reuters

এটাকে ভারতের ইসরায়েল নীতিতে একটা নতুন মোড় বলে মনে করছে দিল্লির কূটনৈতিক মহল৷

গাজা ভূখন্ডে ইসরায়েলের লাগাতার হানা নিয়ে মোদী সরকারের অবস্থান কী, সেটা খোলসা করতে বিরোধীপক্ষ সংসদে আলোচনার জন্য ক্রমাগত দাবি জানাতে থাকলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, সংসদে এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা হলে ইসরায়েলের কাছে ভুল বার্তা যাবে, যেটা সরকার চায় না৷

তিনি বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো নিন্দাসূচক প্রস্তাব সরকার সংসদে আনার বিরোধী৷ দেশের পররাষ্ট্র নীতিতে জাতীয় স্বার্থ সবার আগে৷ তবে ভারতের ফিলিস্তিনি নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি৷ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের প্রতি ভারতের সমর্থন আছে আগের মতোই৷ সেইসঙ্গে আছে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ভারতের পূর্ণ সহমর্মিতা৷ তার অর্থ এই নয় যে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ভারত এগিয়ে নিয়ে যাবে না৷ কাজেই ভারতের মতে, বর্তমান গাজা সংঘর্ষ পরিস্থিতিতে সবথেকে ভালো হয় যদি মিশরের উদ্যোগে দেয়া শান্তি প্রস্তাব উভয়পক্ষ মেনে নেয়৷

দিল্লির কূটনৈতিক মহল মনে করে মোদী সরকার উভয়পক্ষের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা ভারসাম্য আনতে চাইছে৷ বিজেপি সাংসদ চন্দন মিত্রের কথায়, এক পক্ষের দিকে বেশি ঝুঁকলে দেশের পররাষ্ট্র নীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে৷ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দাসূচক প্রস্তাব আনার জন্য বিরোধীদের দাবি নিছক আবেগপ্রসূত৷

উল্লেখ্য, বিজেপির সঙ্গে ইসরায়েলের এক বিশেষ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল৷ ২০০৬ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মোদী ইসরায়েল সফরে গিয়ে বলেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে আবার তিনি ইসরায়েল যাবেন৷ বিজেপির শীর্ষ নেতা এল কে আডবানি ইসরায়েল গিয়েছিলেন ২০০০ সালে৷

পরবর্তীকালে কংগ্রেস সরকারও ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ইসরায়েলি হানার ক্ষেত্রে ভারতের বিবৃতি থেকে ‘নিন্দা' শব্দটির বদলে ‘উদ্বেগ' শব্দ ব্যবহার করতো৷

অতীতে ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ইসরায়েলি হানার সঙ্গে সঙ্গে ভারত ইসরায়েলের নিন্দায় সরব হতো৷ কিন্তু হামাসের মতো ফিলিস্তিনি জঙ্গি সংগঠনকে ভারত কখনো সমর্থন করেনি৷ পাকিস্তানসহ বিশ্বের বড় বড় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে হামাসের যোগ আছে বলে ভারতের সন্দেহ৷

উল্লেখ্য, নরসিমহা রাও-এর প্রধানমন্ত্রীত্বকালে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ১৯৯২ সালে৷ ধীরে ধীরে ভারতের নিরাপত্তার খাতিরে ইসরায়েল হয়ে ওঠে ভারতের সমরাস্ত্র জোগানোর অগ্রণী দেশ৷ ভারত-ইসরায়েল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রসারিত হয় আর্থিক, বাণিজ্যিক এবং রাজনৈতিক স্তরে৷ শুধু তাই নয়, ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে কার্গিল যুদ্ধে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল ইসরায়েল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য