1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ই ইউ. পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন ভারতে

Abdullah Al-Farooq২২ জুন ২০১০

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক প্রধান ব্যারনেস ক্যাথরিন অ্যাশটন চার দিনের ভারত সফরে এসে মঙ্গলবার বৈঠক করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণার সঙ্গে৷

https://p.dw.com/p/O0Aa
চার দিনের ভারত সফরে অ্যাশটন ভারত-ই.ইউ. সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছেনছবি: AP

আলোচনা হয় দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে৷ জোর দেয়া হয় ভারত-ই ইউ সম্পর্ক প্রসারিত করার ওপর৷

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণার সঙ্গে ই.ইউ পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটনের মঙ্গলবারের বৈঠককে আগামী ১১ই অক্টোবর ব্রাসেলস-এ ভারত-ই ইউ শীর্ষ সম্মেলনের অ্যাজেন্ডা চূড়ান্ত করার পর্ব বলা যায়৷ কথা হয় উভয় পক্ষের মধ্যে সন্ত্রাস-বিরোধী সহযোগিতা, জলদস্যুতা প্রতিরোধ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানসহ এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে৷ এছাড়া মত বিনিময় হয় জলবায়ু পরিবর্তন, বিদ্যুত, ব্যবসা-বাণিজ্য ও ইউরোপীয় আর্থিক সঙ্কট নিয়ে৷

ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়, যাতে ব্রাসেলস শীর্ষ সম্মেলনের আগে এই চুক্তি চূড়ান্ত করা যায়৷ ভারত-ই.ইউ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ এখন ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ ২০১৩ সালের মধ্যে এই পরিমাণ দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়৷

এর আগে, ই.ইউ পররাষ্ট্র নীতি প্রধান অ্যাশটন ইউরোপীয় কমিশনের কাছে এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থার প্রেক্ষিতে ভারত ও ই-ইউ বহুপাক্ষিকতা এবং মৌলিক মূল্যবোধের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ৷ যৌথভাবে বিশ্ব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে বাড়াতে হবে শক্তি৷ প্রসারিত করা দরকার নিরাপত্তা, জলবায়ু, অর্থনৈতিক অভিবাসন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা – বলেন ক্যাথরিন অ্যাশটন৷

অ্যাশটন মঙ্গলবার রাতের দিকে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং-এর সঙ্গে৷ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেননের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও তিনি কথা বলবেন সুশীল সমাজের সঙ্গে৷ পরিদর্শন করবেন ই-ইউ আর্থিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পগুলি৷ অ্যাশটনের সঙ্গে এসেছেন ই-ই.ইউ.-র সন্ত্রাস-বিরোধী কো-অর্ডিনেটর গিলেশ দ্য কেরচোভ, ই-ইউ মিলিটারি প্রধান জেনারেল টন ভ্যানওশ৷

প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন