1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অজ্ঞান পার্টি!

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৫ অক্টোবর ২০১৪

ঈদুল আজহা সামনে রেখে বাংলাদেশে বিশেষ করে রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম বেড়েছে৷ তাদের খপ্পরে পড়ে গত ১০ দিনে কমপক্ষে ৪০০ জন সর্বস্ব হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/1DPmi
Eid al Fitr Asien Bangladesch Ferien Reise Dritte Welt Dhaka
ফাইল ফটোছবি: DW/M. Mamun

ঢাকা মহানগর পুলিশের হিসেবে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ইতোমধ্যে মারা গেছেন দু'জন৷ পুলিশ অবশ্য এবার বেশ তত্‍পর৷ ঈদযাত্রীদের সচেতন করতে বিলি করা হয়েছে প্রায় দুই লাখ লিফলেট৷ ১০টি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে৷ টেলিভিশনগুলো প্রচার করছে অজ্ঞান পার্টি নিয়ে নানা খবর৷ এবারে ঈদের ‘হিরো' বা ‘ভিলেন' এখন অজ্ঞান পার্টি৷

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়াদের সবার কাহিনী প্রায় একই রকম৷ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অপরিচিত ব্যক্তিরা সখ্যতা গড়ে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করে সবকিছু নিয়ে গেছে তাদের৷ আর তাদের উদ্ধার করা হয়েছে রাস্তা, বাসস্টেশন বা লঞ্চঘাট থেকে৷

অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়া রোগীদের পরীক্ষা করে চিকিত্‍সকরা জানিয়েছেন, খাবারের সঙ্গে অনেকক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার ‘ডায়াজিপিন' ট্যাবলেট কিংবা সিরাপ মিশিয়ে অজ্ঞান করার কাজ করে প্রতারক চক্র৷ আর এর প্রতিক্রিয়ায় অজ্ঞান হওয়া ছাড়াও ডায়াবেটিস ও লিভারের সমস্যাগ্রস্ত রোগীরা মারাও যেতে পারেন৷ পুলিশের ভাষ্যমতে, অচেতন করার এসব ওষুধ আমদানি নিষিদ্ধ৷ তারপরও অসাধু ব্যবসায়ীরা চোরাই পথে আমদানি করে উচ্চ মূল্যে প্রতারক চক্রের কাছে বিক্রি করে৷

পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজধানী ঢাকা ও আশপাশে অজ্ঞান পার্টির ২০টি চক্র সক্রিয় রয়েছে৷ তাদের সদস্য তিনশ'র বেশি৷ অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা একদলে কমপক্ষে চারজন থাকে৷ তারা নানা কৌশলে যাত্রী বা কেনাকাটা করতে আসা ব্যক্তিদের টার্গেট করে ভাব জমায়৷ এরপর তারাও খায়, শিকারকেও খেতে দেয়৷ আর এরমধ্যেই থাকে কারসাজি৷

পুলিশ শনিবার পর্যন্ত অজ্ঞান পার্টির ৪০ জন সদস্যকে আটক করার কথা জানিয়েছে৷ আর অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের ধরতে গঠন করেছে বিশেষ টিম৷ তারা লঞ্চ, রেল ও বাসষ্টেশন এবং জনসমাগম স্থলে নজরদারি বাড়িয়েছে

পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন আরো তথ্য৷ তিনি জানান, অপরিচিত কারো কাছ থেকে কিছু না খেতে এবার ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে৷ উচ্চক্ষমতার ঘুমের বড়ি পানিতে গুলে বা চা, শরবত, ডাবের পানি, ভাত, জুসের প্যাকেট, শসা, কোমলপানীয়, পান, ঝালমুড়ি, ক্রিম দেয়া বিস্কুটে মিশিয়ে কৌশলে মানুষকে খাইয়ে অজ্ঞান করে সব লুটে নেয়া হয়৷