1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উচ্চ শিক্ষার পাদপীঠ পৎসডাম বিশ্ববিদ্যালয়

২৬ এপ্রিল ২০১০

পৎসডাম শহরের অন্যতম শিক্ষায়তন পৎসডাম বিশ্ববিদ্যালয়৷ একদিকে এখানে ছুটে আসছেন সারা বিশ্ব থেকে গবেষণা পাগল শিক্ষার্থীরা৷ তেমনি মূল্যবোধ আর সেবার ব্রত নিয়েই এখানকার শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে পড়ছেন বিশ্বের নানা প্রান্তে৷

https://p.dw.com/p/N6Ll
পৎসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ভবনছবি: picture-alliance/ dpa

ইউরোপের মধ্যমনি জার্মানির অন্যতম পুরনো ঐতিহাসিক শহর পৎসডাম৷ রাজধানী বার্লিনের পাশেই অবস্থিত পৎসডাম৷ প্রায় ১২০ বছরের ঐতিহ্য বুকে নিয়ে হাফেল নদীর তীরে দাঁড়িয়ে রয়েছে পৎসডাম৷ ১৯৯১ সালে এর ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাথে যোগ হয় পৎসডাম বিশ্ববিদ্যালয়৷

তিনটি ক্যাম্পাস

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে তিনটি ক্যাম্পাস৷ আম নয়েন পালে, গোল্ম এবং বাবেলসব্যার্গ এলাকা জুড়ে মনোরম শিক্ষায়তন৷ আম নয়েন পালে এলাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এবং বেশ কিছু ইন্সটিটিউট৷ যেমন রয়েছে ক্রীড়া বিজ্ঞান, ক্রীড়া চিকিৎসা এবং গণিত ইন্সটিটিউট৷ এছাড়া অষ্টাদশ শতকে নির্মিত প্রাসাদসম ভবনেই কেন্দ্রীয় মিলনায়তন৷ গোল্ম ক্যাম্পাসে রয়েছে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং মানব বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের অবকাঠামো৷ এছাড়া তিনটি মাক্স প্লাঙ্ক ইন্সটিটিউট এবং দু'টি ফ্রাউনহফার ইন্সটিটিউট রয়েছে এই ক্যাম্পাসেই৷

দু'টি সেমিস্টার

বছরে দু'টি সেমিস্টার৷ শীতকালীন সেমিস্টার পহেলা অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ৷ আর ফুলে ফুলে সুশোভিত গ্রীষ্মকালীন সেমিস্টার পহেলা এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত৷ আইন, দর্শন, সমাজ বিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং বিজ্ঞান এই পাঁচটি অনুষদে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষা এবং গবেষণার অবারিত সুযোগ রয়েছে পৎসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে৷

Das Schloss Sanssouci in Potsdam
পৎসডামে ঐতিহাসিক প্রাসাদ সাঁসুসিছবি: dpa

অধ্যাপক এবং প্রভাষক মিলিয়ে শিক্ষক রয়েছেন ৮৭০ জন৷ গবেষণাগার, গ্রন্থাগার, ভাষা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন দপ্তরে আরো কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে প্রায় ১৪ শ'৷ বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যা বিশ হাজারেরও বেশি৷ রয়েছে বিশ্বের ১০০ টিরও বেশি দেশ থেকে আসা দুই হাজার ছাত্র-ছাত্রী৷ অথচ প্রতিষ্ঠার বছর অর্থাৎ ১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছিল সাতটি দেশের মোট ৪৯ জন৷

ফারহানা ফন মিটসলাফের সাক্ষাৎকার

পৎসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফারহানা ফন মিটসলাফ বলেন, বার্লিনে যেই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, সেগুলোতে তাঁর সুবিধাজনক সময়ে কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে কোর্স চালু না থাকায় তিনি পৎসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন৷ সেখানে তিনি প্রাচীন রাজকীয় প্রাসাদে ক্লাস করে বেশ আপ্লুত এবং খুশি৷

বাংলাদেশ এবং জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেক পার্থক্য বিদ্যমান৷ শিক্ষার মানের দিক থেকে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে৷ এছাড়া এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী পড়তে আসায়, বিভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের সাথে পরিচয় হচ্ছে৷ এটা আসলে আমাদের সামনে জ্ঞান ও চিন্তার নতুন দোয়ার খুলে দেয়৷

জার্মানিতে লেখাপড়া করার সময়ের কোন অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে তিনি জার্মানির রাজনৈতিক সংস্কৃতির কথাই বিশেষভাবে উল্লেখ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি বিভিন্ন সময় বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের প্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাওয়াত পেয়েছি৷ কিন্তু অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখি, সেটা কোন চিত্রপ্রদর্শনী, কিংবা কোন গানের অনুষ্ঠান কিংবা কোন বিশেষ বিষয়ের উপর সেমিনার ও আলোচনা সভা৷ অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, কোন রাজনৈতিক কথা-বার্তা না বলে বরং অনুষ্ঠানগুলোতে করা হচ্ছে সামাজিক আলোচনা৷ আর এটা শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রেই নয়, বরং ছাত্র রাজনীতির ক্ষেত্রেও একই চিত্র৷''

প্রতিবেদক : হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক