1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তরকে শক্ত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত দক্ষিণ কোরিয়া

২৭ নভেম্বর ২০১০

নিহত সেনাদের চিরবিদায় জানাতে এসে শোক আর শপথের বাণী উচ্চারণ করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ৷ উত্তরের কর্মকাণ্ডের আরো শক্ত জবাব দেওয়ার দাবি৷ সামরিক বাহিনীকে পূর্ণ প্রস্তুতির নির্দেশ দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং বাকের৷

https://p.dw.com/p/QJt1
USS, George, Washington, South, Korean, navy, ship Dokdo Ham, US -South Korea military, exercise, Busan, দক্ষিণ, জলসীমা, মার্কিন, বিমানবাহী জাহাজ
দক্ষিণের জলসীমার দিকে এগুচ্ছে মার্কিন বিমানবাহী জাহাজছবি: AP

দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নপিয়ং দ্বীপে উত্তরের গোলা হামলার চারদিন পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিহত দুই নৌসেনার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হলো শনিবার৷ এ উপলক্ষ্যে শোকের ছায়া নেমেছিল রাজধানী সৌলের সর্বত্র৷ নিহতদের আত্মীয়-স্বজনের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠেছিল দক্ষিণের বাতাস৷ তবে সেই শোক আর বেদনা শুধু নিহতদের পরিবারকেই নয়, আপ্লুত করেছিল গোটা দক্ষিণের সব মানুষকে৷ পথে নেমে এসেছিল হাজার হাজার বিক্ষোভকারী৷ সৌল সরকারের কাছে জোর দাবি জানালো কমিউনিস্ট উত্তরকে শক্ত জবাব দেওয়ার৷ তারা উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং ইল এবং তাঁর মনোনীত উত্তরাধীকারী পুত্র কিম জং উনের কুশপুত্তলিকা দাহ করে৷ এসময় পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষেরও খবর পাওয়া গেছে৷

শেষকৃত্যানুষ্ঠানে এসে বেশ কড়া প্রতিশোধের ঘোষণা দিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ৷ দক্ষিণ কোরীয় নৌবাহিনীর কমান্ডার উত্তরের হামলার ‘হাজার গুণ’ বেশি প্রতিশোধ গ্রহণের ঘোষণা দেন৷ নৌ বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়ু নাক জুন বলেন, ‘‘আজকের ক্ষোভ এবং শোকের কথা স্মরণ করে যে কোন মূল্যে দুই নৌসেনা খুনের প্রতিশোধ নেবে নৌবাহিনীর সদস্যরা৷’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের অস্থিমজ্জায় কষ্ট এবং শত্রুতার অনুভূতি থেকে আমরা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবো৷’’ এদিকে, প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং বাক উত্তরের যে কোন উসকানির জবাব দিতে পূর্ণ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর মন্ত্রিসভা এবং প্রতিরক্ষা দপ্তরের সদস্যদের৷ সরকারি সূত্রের খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাক বলেছেন, ‘‘উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে, তাই কোরিয়া ও মার্কিন যৌথ বাহিনীর সহায়তায় এটা প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকুন৷’’

রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন নৌসেনাদের যৌথ মহড়া৷ মহড়ায় অংশ নিতে মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ দক্ষিণের জলসীমার দিকে এগুচ্ছে৷ তবে চীনা উপকূলে মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে বেইজিং৷ অবশ্য কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তরের যে কোন উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধেও নিজেদের শক্ত অবস্থানের কথা প্রকাশ করেছে চীন৷ তবুও উত্তরের পক্ষ থেকে তর্জন গর্জন থেমে নেই৷ পিয়ংইয়ং সরকারের প্রচারণায় ব্যবহৃত ওয়েবসাইটে দক্ষিণ-মার্কিন যৌথ মহড়াকে ‘অমার্জনীয় সামরিক উসকানি’ বলে মন্তব্য করেছে উত্তর৷ বরাবরের মতোই চরম হুঁশিয়ারি ছেড়ে তারা বলেছে, ‘‘নিজেদের অঞ্চলের ০.০১ মিলিমিটার অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেই শত্রুর এলাকাকে অগ্নিস্ফুলিঙ্গে পরিণত করবে উত্তর৷’’

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান