1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তরের সঙ্গে বাণিজ্য ছিন্ন করল দক্ষিণ কোরিয়া

২৪ মে ২০১০

জাহাজডুবির ঘটনায় দুই কোরিয়ার সম্পর্কে আবারো চিড় ধরেছে৷ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং বাক উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন৷ অন্যদিকে, পশ্চিমা বিশ্বও সমর্থন দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়াকে৷

https://p.dw.com/p/NVcO
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং-বাকছবি: picture alliance/dpa

দক্ষিণ কোরিয়া সোমবার উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য আপাতত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে৷ সেদেশের একটি সামরিক জাহাজ ডুবিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে দক্ষিণ কোরিয়ার এই সিদ্ধান্ত৷ ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়াকে সমর্থন জানালেও উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে আরো হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না কোন পক্ষ৷

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং-বাক দেশটির সমুদ্রসীমায় উত্তর কোরিয়ার বাণিজ্য জাহাজ প্রবেশের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন৷ একইসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ ডুবিয়ে ৪৬ জন নাবিক মেরে ফেলার ঘটনায় দ্রুত ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷ লি জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়াকে শাস্তি দিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও অভিযোগ করা হবে৷

জাতীয় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে বিষণ্ণ লি আরো জানান, উত্তর কোরিয়া আর কোন উসকানিমূলক আচরণ করলে সামরিক জবাব দেয়া হবে৷ তিনি বলেন, অতীতে দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার অনেক নিষ্ঠুর আচরণ সহ্য করেছে৷ কিন্তু এখন অবস্থা পাল্টেছে৷ আর তাই, যেকোন উসকানিমূলক আচরণের জন্য উত্তর কোরিয়াকে ভুগতে হবে বলে মত দেন লি মিয়ুং-বাক৷

দুই কোরিয়ার এই দ্বন্দ্ব নিরসনে সক্রিয় পশ্চিমা বিশ্ব৷ চীন সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা উত্তর কোরিয়াকে উসকানিমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানাচ্ছি৷ একইসঙ্গে অনুরোধ করছি প্রতিবেশীদের প্রতি হুমকি প্রদর্শন কিংবা যুদ্ধ অবস্থার মতো আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে৷ উত্তর কোরিয়ার উচিত পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা এবং সেইসাথে আন্তর্জাতিক আইন মনে চলা৷’’

এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর প্রশাসনকে উত্তর কোরিয়ার নীতি পর্যালোচনার নির্দেশ দেন এবং ভবিষ্যৎ হামলা রোধে সশস্ত্র বাহিনীকে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেন৷

উল্লেখ্য, দুই কোরিয়ার বিবাদ নতুন কিছু নয়৷ ১৯৪৮ সালে দুই কোরিয়ার বিভক্তির পরই ১৯৫০ সালে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধে প্রাণ হারায় কয়েক লাখ সাধারণ মানুষ৷ সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি জাহাজ ডোবার ঘটনায় পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে৷ উত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া টর্পেডোর আঘাতে ঐ জাহাজটি ধ্বংস হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন