1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ককেশাস থেকে ইউরোপ

আলেসি পেট্রোভিচ, মার্কিয়ান অস্টাপচুক/এসি২ নভেম্বর ২০১৩

রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চল থেকে ক্রমেই আরো বেশি মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়নে যেতে আকুল৷ যাত্রা ট্রেনে৷ পথে বেলারুস হয়ে পোল্যান্ডে ইইউ সীমান্ত পারাপার৷ অনেকেরই চূড়ান্ত গন্তব্য হলো জার্মানি৷

https://p.dw.com/p/1AADB
Regionalzug Brest - Terespol, von Weißrussland nach Polen, September 2013
ছবি: DW/A. Petrovitsch

প্রতিদিন সকাল আটটা বেজে এক মিনিটে বেলারুসের ব্রেস্ট শহর থেকে একটি ট্রেন ছাড়ে কাছেই পোল্যান্ডের তেরেসপোল শহর অভিমুখে৷ এর পরেও থাকে আরো দু'টি ট্রেন৷ কিন্তু সকালের ট্রেনটাতেই ভিড় থাকে৷ সাধারণত ট্রেনের অর্ধেক যাত্রীই হয় উত্তর ককেশাস থেকে আসা মানুষজন৷ রুশ ফেডারেশনের এই অংশটি চেচনিয়া, ইঙ্গুসেশিয়া, উত্তর অসেশিয়া এবং দাগেস্তান মিলে গঠিত৷

ককেশাস থেকে আগত মানুষদের অধিকাংশই পোল্যান্ডের সীমান্ত পার হয়েই রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন৷ তার মধ্যে ৯০ শতাংশ আবেদন পড়ে এই ব্রেস্ট-তেরেসপোল সীমান্তে৷ ২০১৩ সালের প্রথম ছ'মাসে এখানে ৯ হাজার ৫০০ রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন পড়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজার ৭৩০ জন আবেদনকারী জাতিতে রুশি৷ ২০১২ সালের তুলনায় রাজনৈতিক আশ্রপ্রার্থীদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ৷

Hauptbahnhof in Brest , Weißrussland, September 2013
যাত্রা ট্রেনেছবি: DW/A. Petrovitsch

পথে-বিপথে

ব্রেস্ট থেকে তেরেসপোল মাত্র ২০ মিনিটের পথ৷ বেলারুস তরফে পাসপোর্ট কন্ট্রোল উত্তর ককেশীয়দের জন্য বিশেষ সমস্যাকর নয়৷ একজন রুশ নাগরিকের ইউরোপীয় ইউনিয়নে ঢোকার ভিসা আছে কিনা, তা দেখার দায়িত্ব বেলারুসের কর্মকর্তাদের নয়৷ তাঁদের শুধু দেখার কথা, পাসপোর্টগুলো ঠিকঠাক আছে কিনা৷ ট্রেন তেরেসপোল পৌঁছলে যাঁদের ন্যায্য ইইউ ভিসা আছে, তাঁদের ট্রেন থেকে নামতে দেওয়া হয়৷ যাঁদের ভিসা নেই, তাঁদের অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেনেই অপেক্ষা করতে হয়৷ তারপর পোল্যান্ডের সীমান্ত কর্মকর্তারা তাঁদের একটি বিশেষ কামরায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন৷ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীরা বেলারুসে তাঁদের স্বদেশবাসীদের কাছ থেকেই কি বলতে হবে না হবে, তা জেনে এসেছেন৷

তাঁরা যদি পোলিশ কর্মকর্তাদের বোঝতে পারেন যে, তাঁরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তবে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর কিংবা নামঞ্জুর হওয়া অবধি তাঁরা পোল্যান্ডে থাকতে পারবেন৷ কিন্তু খুব কমজনের ক্ষেত্রেই সেটা ঘটে: অধিকাংশকেই পরের ট্রেনে তুলে বেলারুস ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ অবশ্য পরের দিনই তাঁরা আবার ইইউ-তে ঢোকার চেষ্টা করবেন, এবং সেটা ঐ ব্রেস্ট-এ থেকেই৷ এই কারণে ব্রেস্ট-এ ঘরভাড়া বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷

Migranten aus dem Nordkaukasus auf dem Bahnhof in Brest (Belarus, Weißrussland). Das Foto hat der Korrespondent in Brest (Belarus, Weißrussland) Ales Petrovitsch im September 2013 gemacht, Das Foto darf auf DW-Seiten veröffentlicht werden. ### ACHTUNG BILDQUALITÄT IST SCHLECHT ###
ককেশাস থেকে আগত মানুষদের অধিকাংশই পোল্যান্ডের সীমান্ত পার হয়েই রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন (ফাইল ফটো)ছবি: Ales Petrovitsch

যাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বিবেচনা করা হয়, তাঁদেরও মাত্র ৩০ শতাংশ পোল্যান্ডে থেকে কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করেন৷ অধিকাংশ যথাশীঘ্র উদ্বাস্তু আবাসন ছেড়ে অবৈধভাবে পশ্চিম ইউরোপের দিকে পাড়ি জমান – বিশেষ করে জার্মানি তাঁদের একটি প্রিয় লক্ষ্য৷ তাঁদের জানা নেই যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন অনুযায়ী তাঁরা প্রথম যে দেশে পা দিয়েছেন, একমাত্র সেখানেই তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয় পাবার অধিকার আছে৷ অর্থাৎ তাঁদের জার্মানি থেকে পোল্যান্ড ফেরত পাঠানো হতে পারে৷

উত্তর ককেশীয়দের তা-তেও আপত্তি নেই৷ দেশে ফেরার চাইতে সব কিছু ভালো, এই হলো তাঁদের মনোভাব৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য