1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তর কোরিয়াকে ২-১ গোলে হারালো ব্রাজিল

১৬ জুন ২০১০

জোহানেসবার্গের এলিস পার্কে৷ ১৯৬৬ সালের পর বিশ্বকাপের মাঠে প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়া৷ লড়াই চলছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের সাথে৷ তবুও লড়াই চলছে হাড্ডাহাড্ডি৷ গোল বিহীন প্রথমার্ধ৷

https://p.dw.com/p/Nrl3
গোল দেওয়ার পর মায়কনকে ঘিরে উল্লাসছবি: AP

শিরোপা জয়ে দক্ষ ব্রাজিলিয়ানরা বিরতির সময়েই সেরে ফেলেন নতুন আক্রমণের মূল ছক৷ কাজও হয় তাতে৷ বিরতির পর ঠিক ১০ মিনিটেই দেখা মেলে সূচনা গোলের৷ ইন্টার মিলানের রাইট-ব্যাক মায়কনই কাটালেন মঙ্গলবারের তৃতীয় ম্যাচের একঘেয়েমির পালা৷ এলানোর বাড়িয়ে দেওয়া বলের যথেষ্ট সদ্ব্যবহার করেন মায়কন৷ মায়কন শুধু গোলই করেননি, বরং তিনি যেন পুরো দলকেই এনে দিলেন হারানো উদ্যম৷

প্রথম গোলের পর থেকেই নিজেদের দাপট বজায় রাখতে শুরু করে কোচ কার্লোস দুঙ্গার ছেলেরা৷ উত্তর কোরিয়ার প্রতিরোধ ব্যুহ পাশ কাটিয়ে একটি সুন্দর বল তৈরি করে দেন রবিনহো৷ ঠিকমতোই কাজে লাগান এলানো৷ ৭২ মিনিটে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ২-০ গোলে৷ ৪৪ বছর পর ফুটবলের বৃহত্তম আসরের মাঠে নামলেও জি ইয়ুন নামের বদৌলতে একটি গোল শোধ করে উত্তর কোরিয়া৷ ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হতে যখন মাত্র এক মিনিট বাকি, ঠিক তখনই দেখা মেলে উত্তর কোরিয়ার পক্ষের একমাত্র গোলটির৷

Fußball WM 2010 Südafrika Brasilien vs Nordkorea Flash-Galerie
ব্রাজিলের বিরুদ্ধে একমাত্র গোল করার মুহূর্তে উত্তর কোরিয়ার জি ইয়ুম নামছবি: AP

যাহোক, জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা কাকা এবং রবিনহোর পা থেকে কোন গোল না পেয়ে ভক্তরা যে হতাশ তাতে সন্দেহ নেই৷ অবশ্য, ফুটবল বিশারদদের মন্তব্য, উত্তর কোরিয়ার চেয়ে আরো ভালো দলের জন্যই হয়তো প্রতীক্ষায় আছেন কাকা-রবিনহো জুটি৷ তবে উত্তর কোরিয়ার শক্ত প্রতিরক্ষা ব্যুহর প্রশংসা করলেন রবিনহো৷ বললেন, ‘‘তারা নিজেদের খুব সুরক্ষিত রেখেই খেলেছে৷ এমন অবস্থায় ধৈর্য্য ধরাই উচিত৷ আর একটিও গোল না হলে এটা আরো কঠিন হয়ে ওঠে৷''

এদিকে, ফুটবল বিশ্বকে মর্মাহত করেছে সংঘাতপূর্ণ সোমালিয়ার ঘটনা৷ দেশটির একটি ইসলামি গোষ্ঠীর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও টেলিভিশনে ফুটবল খেলা দেখার অপরাধে খুন হতে হয়েছে দু'জনকে৷ এছাড়া হিজবুল ইসলাম নামের ঐ গোষ্ঠী একই অপরাধে ধরে নিয়ে গেছে আরো ৩৫ জনকে৷ অন্যদিকে, ডার্বানে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার৷ তবে ঘটনার পর ডার্বান, জোহানেসবার্গ, কেপটাউন এবং পোর্ট এলিজাবেথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে বলে খবর৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম