1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তর কোরিয়ার ‘‘পবিত্র যুদ্ধের’’ হুমকি

২৪ জুলাই ২০১০

যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ‘‘বেপরোয়া’’ সামরিক মহড়ার বিরুদ্ধে ‘‘যে কোনো সময়ে’’ ‘‘পবিত্র যুদ্ধের’’ হুমকি দিল পিয়ংইয়াং, তার পারমাণবিক ক্ষমতার ভিত্তিতে৷ ওয়াশিংটন বলছে, তারা বাগযুদ্ধে আগ্রহী নয়৷

https://p.dw.com/p/OTXO
USS Gearge Washington
নৌমোহড়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান বন্দরে মার্কিন বিমানবাহী পোত ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটনছবি: AP

গত মার্চ মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি জঙ্গি জাহাজ সম্ভবত উত্তর কোরিয়ার কোনো ডুবোজাহাজ থেকে ছোঁড়া টর্পেডোর আঘাতে ডুবে যায় - অন্তত দক্ষিণ কোরিয়ার তদন্তকারীদের সিদ্ধান্ত তাই৷ সে'যাবৎ কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা চরমে৷ কিন্তু চলতি বাগযুদ্ধের উপলক্ষ্য দ্বিবিধ: প্রথমত ভিয়েতনামে আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম বা এআরএফ'এর বৈঠক, এবং দ্বিতীয়ত এই রবিবার একটি মার্কিন-দক্ষিণ কোরীয় নৌ মহড়ার সূচনা, যার উদ্দেশ্য হল, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের ভাষায়, মিত্রদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষায় মার্কিন দৃঢ়বদ্ধতা প্রদর্শন৷

ভিয়েতনামে এআরএফ'এর নিরাপত্তা সম্মেলনে দুই কোরিয়া, চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া জাপান ও রাশিয়াও উপস্থিত - অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত ছ'পাক্ষিক আলাপ-আলোচনায় যে সব দেশ সংশ্লিষ্ট, তাদের সকলেই হাজির৷ অপরদিকে হ্যানয়'তে একযোগে ক্লিন্টন এবং উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাক উই-চুন'এর উপস্থিতিই কূটনৈতিক স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট৷

গত বুধবারেই ওয়াশিংটন পিয়ংইয়াং-এর বিরুদ্ধে নতুন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে৷ তারপর এই রবিবারের নৌ মহড়া৷ কাজেই হ্যানয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদলের তরফ থেকে শোনা গেছে হুঙ্কার: নৌ মহড়ার ‘‘বাস্তব জবাব'' দেওয়া হবে৷ সেটা কিভাবে, সে খোলাখুলি হুমকি উত্তর কোরিয়ার সরকারি কেসিএনএ সংবাদ সংস্থার: উত্তর কোরিয়ার শক্তিশালী পারমাণবিক প্রতিষেধকের মাধ্যমে৷ এবং এবার সেই বাগাড়ম্বর চরমে তুলেছে উত্তর কোরিয়ার প্রতাপশালী জাতীয় প্রতিরক্ষা পরিষদ, যাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী এবং জনগণ তাদের নিজস্ব পবিত্র যুদ্ধ শুরু করবে, যে কোনো সময়ে এবং তাদের পারমাণবিক প্রতিষেধকের ভিত্তিতে''৷

ওয়াশিংটনের প্রতিক্রিয়া: তারা বাগযুদ্ধ চায় না৷ কিন্তু তারা যা চায়, তা এআরএফএর তরফে উত্তর কোরিয়ার নিন্দাই হোক, বা চীনের তরফে উত্তর কোরিয়ার রাশ টেনে ধরাই হোক, দুটোর কোনোটাই আপাতত ঘটছে না৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম